সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জনতা ব্যাংক তামাই শাখা হইতে ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক আল আমিন, সহকারী ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম, অফিসার রাশেদুল ইসলামের যোগসাজসে তামাই শাখা হতে ৫ কোটি বাইশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তিনজনকে সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে ফৌজদারি আইনে ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেছে বেলকুচি থানা পুলিশ।
ব্যাংকের টাকা গড়মিলের সাথে জরিত জনতা ব্যাংক তামাই শাখা ব্যবস্থাপক আল আমিন (৪২) সিরাজগঞ্জ ধানবান্দি পৌর এলাকার মো: হারান শেখের ছেলে, সহকারী ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম (৩৪) বগুড়া ধুনট থানার বেলকুচি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে, ব্যাংক অফিসার রাশেদুল ইসলাম (৩১) সিরাজগঞ্জ বনবাড়িয়া কাদাই গ্রামের জিয়াউল হকের ছেলে।
লিখিত অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়, মোঃ নজরুল ইসলাম জনতা ব্যাংক পিএলসি সিরাজগঞ্জ এরিয়া অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ও সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার জনতা ব্যাংক তামাই শাখা ক্যাশ লেনদেনে সন্ধেহ পরিলক্ষিত হলে গত রবিবার ২৪ মার্চ জনতা ব্যাংক তামাই শাখায় উপস্থিত হয়ে লেনদেনের সমস্থ কিছু অডিট শেষে দেখতে পান ক্যাশভল্টে পাঁচ কোটি বাইশ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার হিসাব গড়মিল পাওয়া যায়। এসময় তামাই জনতা ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক, সহকারী ব্যবস্থাপক ও অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তারা এই টাকা সরিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনতা ব্যাংক পিএলসি সিরাজগঞ্জ এরিয়া অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নজরুল ইসলাম জানান জনতা ব্যাংক তামাই শাখা অডিটের মাধ্যমে পাঁচ কোটি বাইশ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার হিসাব গড়মিল পাওয়া যায় এবং অভিযুক্তরা স্বীকার করেন তারা এই টাকা স্থানান্তর করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে জানতে চাইলে তিনি জানান, জনতা ব্যাংক ঢাকা হেড অফিস যাচাই বাছাই করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।
এব্যাপারে বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ আনিছুর রহমান বলেন, বেলকুচির জনতা ব্যাংক তামাই শাখা হিসাবে ৫ কোটি বাইশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা হিসাবে গড়মিল থাকায় শাখা ব্যবস্থাপকসহ ৪/৫ জনের নামে অভিযোগ দিলে ব্যাংকের ৩ জন অফিসারকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং যেহেতু টাকা লেনদেনের বিষয় সেই কারনে অভিযোগ পত্রটি দুদকে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।’