রাজশাহী জেলার বাঘায় বিয়ের প্রলোভনে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক ও তার বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) তারা জামিনের জন্য আবেদন করলে আদালত তা নামুঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। রোববার তাদের আটক করা হয়।
জানা গেছে, উপজেলার উত্তর মিলিকবাঘা গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে সাব্বির হোসেন (২০) নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীর সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে ২১ ফেব্রুয়ারী সাব্বির হোসেনের বন্ধু বাঘা উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে সঞ্জুর (২১) বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
স্কুল ছাত্রী তার প্রেমিককে বিয়ের কথা বললে টালবাহনা শুরু করে। এক পর্যায়ে তার মাকে ঘটনা জানায়। পরিবারের পক্ষ থেকে পূনরায় বিয়ে কথা বললে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয় হয়। নিরুপায় হয়ে কোন উপায় না পেয়ে রোববার (১৭ মার্চ) স্কুল ছাত্রীর মা’ বাদি হয়ে বাঘা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় প্রেমিক ও তার বন্ধুকে আটক করে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার (ওসি তদন্ত) সোহেব খান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর ধর্ষক ও তার বন্ধুকে গ্রেফতার করে সোমবার আদালতে প্রেরণ করা হয়। স্কুল ছাত্রীকে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।