রাজশাহী জেলার মোহনপুরে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বামী শিমুল হোসেন (২৪)। অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার (২১ মে) বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সাত মাস আগে মোহনপুর উপজেলার বাকশিমইল গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে শিমুলের সাথে একই উপজেলার ঘাসিগ্রাম গ্রামের মাজেদুল ইসলাম মৃধার মেয়ে কারিমা আক্তার মিমের (২০) বিয়ে হয়। এরপর যৌতুকের জন্য প্রায় তাকে নির্যাতন করা হতো। গত শুক্রবার (২০ মে) বিকালে কারিমাকে স্বামী এবং শাশুড়ি মিলে মারধর চালায়। পরে অবস্থার বেগতিক দেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার অপপ্রচার চালিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক কারিমাকে মৃত ঘোষনা করেন। এরপর হাসপাতালে মরদেহ রেখে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন কৌশলে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্যে পাঠায়। রাতে নিহতের বাবা বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরো জানা যায়, মালমার পর থেকেই মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম আসামীদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে আসামীর খোঁজে সোর্সদের সক্রিয় করে তোলেন। এক পর্যায়ে গোপনে জানতে পারেন আসামী দূর্গাপুর এলাকাতে অবস্থান করছেন।
তারপর তিনি কৌশলে পুলিশ সদস্যদের পাঠিয়ে সঠিক ভাবে দিকনির্দেশনা প্রদান করে গৃহবধুর ঘাতক স্বামী শিমুলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। পরে সেই আসামী নিয়েই বাকি আসামীদের ধরতে সকল প্রকার কার্যক্রম চলমান রেখেছেন।
এ বিষয়ে মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জানান, এ মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলমান রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে রোববার (২২ মে) সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।