সাভারের আশুলিয়ায় ছোট বোনকে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ভুক্তভোগীর বড় বোন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।সেই মামলায় সম্প্রতি মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তারও হয়েছেন।
তবে আসামী গ্রেপ্তারের পর থেকে অভিযুক্তর পক্ষ নিয়ে আপোষ মিমাংসা করে দিতে চাওয়া কথিত মাতব্বর মাল্টিপারপাস ব্যবসায়ী আনারুল নামের এক ব্যক্তি মামলার বাদীকে ভয়ভীতি, হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে। এমনকি ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারটিকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন।
ফলে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত বুধবার (৬মার্চ) আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডাইরি করেছেন মামলার বাদী পোশাক শ্রমিক সেলিনা বেগম।
সেলিনা বেগম বলেন, গত সোমবার আমি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আমাদের ভাড়া বাসার ম্যানেজার মো. কবির হোসেনের নামে একটি মামলা দায়ের করি। এই মামলা তুলে নিতে আনারুল (৪০) নামের এক ব্যক্তি চাপসৃষ্টি করছেন এবং বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। মামলা তুলে নানিলে আমার বড় ধরনের ক্ষতি হবে বলেও বাসায় এসে সাশিয়ে গিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার প্রথম দিন থেকেই ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে আসছিল আনারুল হক। তাঁর কথামত মিটমাট না করলে নির্যাতনের হুমকিও দিয়েছল ওই ব্যক্তি। এমনকি থানা পুলিশের শরণাপন্ন যেন হতে না পারি, এজন্য আমাদের নজরদারিতে রাখা হতো। আপোষ মিমাংসা না হয়ে থানায় মামলা করায় আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে আনারুল। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের ওপর হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে সে।এতে আমরা চরম আতঙ্কিত।
এবিষয়ে আনারুল হক বলেন, তারা আমার পূর্ব পরিচিত তাই বিষটি আমি মিমাংশার চেষ্টা করি। আমি কাউকে বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেইনি। আপনি আসেন সাক্ষাতে বসে চা খাই ও কথা বলি।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অমিতাভ চৌধুরি বলেন, আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে তারা পারিবারিক ভাবে মিমাংশা করার চেষ্টার কারনে আসামি গ্রেফতার করতে দেরি হয়েছে।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী কিশোরী তার বোন-দুলাভাইয়ের সাথে জামগড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে বড় বোনের দুই সন্তানকে দেখাশোনা করতো। অভিযুক্ত ব্যক্তি বাড়ির ম্যানেজার কবির হোসেন বিভিন্ন সময় তাকে একা পেয়ে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ঘটনার দিন বাসা ফাঁকা পেয়ে ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে ভুক্তভোগীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। এঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বড় বোন বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করার প্রায় ২০দিন পর গত (৪মার্চ) অভিযোগটি নিয়োমিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। এবং ওই দিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেন আশুলিয়া থানা পুলিশ।