সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের বেলকুচি মডেল কলেজের এক প্রভাষকের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের চেয়ার দখলের অভিযোগ উঠেছে। কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক আল মামুনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগটি ওঠে।
বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে অবৈধ এই অধ্যক্ষের অপসারন দাবীতে স্থানীয়রা একটি বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে’।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সুত্র থেকে জানাযায়, সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান সরকারের বয়সসীমা ষাট বছর পূর্ণ হবার আগেই তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে দুই বছর অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য একটি আবেদন করে। সেই সাথে বিধি মোতাবেক কলেজ পরিচালনা পর্ষদ অস্থায়ী ভিত্তিতে মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক শামীম হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেন।
কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান সরকার জানান, আমার বয়সসীমা ষাট বছর পূর্ণ হবার পূর্বেই আমরা বিধি মোতাবেক কলেজে মার্কেটিং বিভাগের শামীম হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়েছিলাম। কিন্তু ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক আল মামুন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বিধি রয়েছে তার তোয়াক্কা না করে পেশিশক্তিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হয়েছেন। তিনি যে বিভাগের প্রভাষক সেটি আজ পর্যন্ত এমপি ভুক্ত হয়নি অথচ সে ভারপ্রাপ্ত প্রভাষকের দায়িত্ব পালন করছেন। আমি এই অবৈধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপসারণ দাবী জানাচ্ছি।
কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুল হক রেজা জানান, আমার দায়িত্ব পালনকালে আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনে শামীম হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বানিয়েছিলাম। কিন্তুু চর দখলের মতো করে আল মামুন সাহেব নিজেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বানিয়ে কলেজের অধ্যক্ষের চেয়ার দখল করে রেখেছেন। আমি এই অবৈধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপসারন দাবী করছি আর সেই সাথে উপযুক্ত ব্যক্তিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়ারও দাবী জানাচ্ছি’।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামীম হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সম্প্রতি আমাদের কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। উনিই এই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বানিয়েছেন।
আল মামুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হবার মতো কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। তিনি জোর করেই আসলে অধ্যক্ষের চেয়ার দখল করে রেখেছেন।
কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হাফিজুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুসারে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক আল মামুনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বানিয়েছি। তবে ওনার বৈধতার কাগজপত্র নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি তার সঠিক কোন উত্তর না দিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করার কথা বলে মুঠোফোনটি কেটে দেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত প্রভাষক আল মামুন জানান, আমি এই মুহুর্তে আমার বৈধতার কোন কাগজপত্র দিতে পারছি না। তিন দিন পর আমি এই কাগজপত্র দেখাতে পারবো তার আগে নয়।’
আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া সুলতানা কেয়া জানান, আমি এই সংক্রান্ত বিষয়ে একটি চিঠি পেয়েছি। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে। তবে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এধরণের ঘটনা মোটোও কাম্য নয়।