রাজশাহীর পুঠিয়ায় পরিবহন খাতে চলছে চাঁদাবাজির মহোৎসব। উপজেলা জুড়ে প্রায় ১০টি স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি এখন প্রকাশ্য ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
বাস, টেম্পো, লেগুনা ও অটোরিকশার স্ট্যান্ডগুলোতে হচ্ছে এই চাঁদাবাজি। প্রতি মাসে পরিবহন খাতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার চাঁদাবাজি হচ্ছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
আর পরিবহন খাতে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত রয়েছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। রাজনৈতিক দলের উঠতি নেতা থেকে পাতি নেতাও রয়েছে চাঁদাবাজির এই শক্তিশালী সিন্ডিকেটে। এক কথায় সিন্ডিকেটের চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে পরিবহন খাত। প্রকাশ্যে এ সব চাঁদাবাজি চললেও প্রশাসন অনেকটা নির্বিকার। নেয়া হচ্ছে না কোন কার্যকরী পদক্ষেপ।
পরিবহন খাতের মালিক ও চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- প্রতিটি স্ট্যান্ড ঘিরে রয়েছে শ্রমিক সমিতি কিংবা মালিক সমিতির নামে-বেনামে বিভিন্ন সংগঠন। আর ওই সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে থাকছেন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও প্রভাবশালীরা। এদের সমন্বয়েই গড়ে উঠেছে পরিবহন খাতের চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট।
প্রতিটি স্ট্যান্ডেই রয়েছে ওই সিন্ডিকেটের নিয়োগ প্রাপ্ত লাইনম্যান। সিএনজি, অটোরিকশা, বাস কিংবা ট্রাক থেকে ওই লাইনম্যানের হাতেই নির্ধারিত অংকের চাঁদার টাকা আদায় হচ্ছে প্রতিদিন। এভাবেই চলছে পরিবহন খাতের পুঠিয়া এলাকার চাঁদাবাজির।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পুঠিয়া উপজেলার রাজশাহী-নাটোর-ঢাকা মহাসড়কের বেলপুকুরিয়া রেলগেট, বানেশ্বর ট্রাফিক চত্বর, শিবপুর হাট, পুঠিয়া বাসস্ট্যান্ডসহ মহাসড়ক থেকে আড়ানী রোডের মসজিদ চত্বর এবং চারঘাট, দূর্গাপুর ও তাহেরপুর রুটের স্ট্যান্ডগুলোতে বিভিন্ন পরিবহন থেকে চাঁদাবাজি চলছে প্রকাশ্যে। এতে অতিষ্ট পরিবহন খাত। এছাড়াও টোকেনের মাধ্যমেও পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি হচ্ছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন আরেক সিএনজি/হিউম্যান হলার চালকরা।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুর রহমান জানান, পরিবহন থেকে চাঁদা তোলা হয় এটা আমার জানা নেই। বিষয়টি এখন শুনলাম। নজরদারি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।