রাজশাহী জেলার বাগমারাতে দীঘি থেকে এক যুবকের ভাসমান লাঁশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই যুবকের নাম গোলবর রহমান (৩২)। তিনি বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার ডাক্তা মহল্লার আছের আলীর ছেলে।
পুলিশ উদ্ধারকৃত মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন বলে বাগমারা থানার পুলিশ জানিয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে বাগমারা থানার পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ডাক্তা মহল্লার আছের আলীর ছেলে নিহত গোলবর রহমান ১৫ বছর পূর্বে থেকে পৌরসভার দানগাছী মহল্লার সোহরাব হোসেনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেনের বাড়িতে শ্রমিকের কাজ করে আসছে।
প্রতিদিনের ন্যায় গত মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারী) গোলবর রহমান নিজ বাড়ি ডাক্তা থেকে দানগাছী মহল্লার সাজ্জাদ হোসেনের বাড়িতে কাজ করতে আসে।
সকাল থেকে তিনি সাজ্জাদ হোসেনের বাড়িতে কাজ করে দুপুরে তিনি দীঘির ময়লা আর্বজনা পরিস্কার করতে যায়। সেখান থেকে তিনি আর ফিরে আসেন নাই। ধারণা করা হচ্ছে তিনি ঠান্ডার কারনে পানিতে পড়ে মারা গেছেন।
বিকেলে বাড়িতে না ফেরায় গোলবর রহমানের পরিবার থেকে সাজ্জাদ হোসেনকে সে বাড়িতে না ফিরার বিষয়টি অবহিত করেন। তখন থেকেই সাজ্জাদ হোসেন ও গোলবর রহমানের পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজাখুজি শুরু করেন। গভীল রাত পর্যন্ত গোলবর রহমানের সন্ধ্যান না পেয়ে পরিবার ও সাজ্জাদ হোসেন নিজ বাড়িতে ফিরে যান।
বুধবার (৩১ জানুয়ারী) সকালে জেলেরা দীঘিতে মাছ ধরতে এসে গোলবর রহমানের ভাসমান লাঁশ দেখতে পায়। সাথে সাথে এলাকার শত শত মানুষ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহের বিষয়টি বাগমারা থানার পুলিশকে অবহিত করেন।
পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান এবং লাঁশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠান। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আছের আলী বাদী হয়ে বাগমারা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, দীঘির পানিতে গোলবর রহমানের লাঁশটি ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। ময়না তদন্ত ছাড়া কিছুই বলা সম্ভব হচ্ছে না। ময়না তদন্তের পরে বিস্তারিত জানা যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।