বর যাবেন বিয়ে করতে, সেটাও আবার হেলিকপ্টারে ! আর সেটা যদি হয় প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে, তাহলে তো রীতিমত হৈচৈ সৃষ্টি হবারই কথা ! এমনটিই ঘটেছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের ডাবিরাভিটা নামক একটি গ্রামে ৷
কথায় বলে- শখের তোলা আশি টাকা। তেমনি কুয়েত প্রবাসী যুবক আল আমিন তার মায়ের শখ মেটাতে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করে ফিরেছেন।
বরের বাড়ি থেকে কনের বাড়ির দূরত্ব মাত্র ১১ কিলোমিটার। বাইক কিংবা মাইক্রোবাসে যেতে সময় লাগে ২৫ মিনিট। আর হেলিকপ্টারে পাঁচ মিনিট। এতটুক দূরত্বে নববধূকে নিয়ে আসতে হেলিকপ্টারে চড়লেন কুয়েত প্রবাসী বর আল আমিন।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে হেলিকপ্টারে চড়ে ঢাকা থেকে পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের ডাবিরাভিটা গ্রামে আসেন আল আমিন। পরে মাত্র পাঁচ মিনিটে একই উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গাংপাড়া খেলার মাঠে পৌঁছান তিনি।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নববধূকে নিয়ে আবার হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ গ্রামে ফিরে আসেন বর আল আমিন ৷ এসময় বরের সঙ্গে ছিলেন বড় বোন ও বোনের স্বামী। এই আয়োজনে খরচ হয়েছে প্রায় দুই লক্ষাধীক টাকা।
বর আল আমিন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের ডাবিরাভিটা গ্রামের কুয়েত প্রবাসী আমিরুল ইসলামের দ্বিতীয় ছেলে। আর কনে তানজুরা খাতুন (১৯) একই উপজেলার গোস্বামী দূর্গাপুর ইউনিয়নের গাংদী গাংপাড়া গ্রামের তাসের আলীর কন্যা ।
এলাকাবাসী জানান, বরের বাড়ি থেকে কনের বাড়ির দূরত্ব মাত্র ১১ কিলোমিটার। এতটুকু রাস্তা হেঁটে যেতে সর্বোচ্চ ঘন্টাখানেক সময় লাগার কথা। কিন্তু বর এলেন হেলিকপ্টারে চড়ে। আর বিয়েতে বরযাত্রী গেছেন ১০০ জন। তাদেরকে মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে কনের বাড়িতে পাঠানো হয় ৷
বরের বাবা আমিরুল ইসলাম জানান, আমি দীর্ঘদিন কুয়েতে ছিলাম, আমার ছেলেও কুয়েত প্রবাসী ৷ আমার স্ত্রীর শখ ছিল আমাদের অর্থ সম্পদ হলে ছেলে আল আমিনকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করাবেন। তার শখ পূরণ করতেই এই আয়োজন করা হয়েছে ৷
এ বিষয়ে বরের মা আমেনা খাতুন বলেন, ‘শখ ছিল ছেলেকে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে পাঠাবো। ছেলের বউকে হেলিকপ্টারে আনবো। ছেলের বউকে হেলিকপ্টারে আনতে পেরে আমি খুব খুশি।’
বর আল আমিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে কুয়েতে চাকরি করছি। মায়ের শখ ছিল হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যাব। মায়ের শখ পূরণ করতে পেরে ভালো লাগছে।’
গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাল্টু রহমান বলেন, এই অঞ্চলে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের ঘটনা এটাই প্রথম। দুই ইউনিয়নের মানুষ বিষয়টি বেশ উপভোগ করেছে।