রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গৃহবধূর লাঁশ ফেলে রেখে পালিয়েছে ঘাতক স্বামী ও তার স্বজনরা। শুক্রবার (২০ মে) সন্ধার পর মরদেহ উদ্ধার করে সুরুতহালের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে মোহনপুর থানা পুলিশ।
নিহতের স্বজনরা জানান, সাত মাস আগে মোহনপুর উপজেলার বাকশিমইল গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে শিমুল হোসেন (২৪) এর সাথে একই উপজেলার ঘাসিগ্রামের মাজেদুল ইসলাম মৃধার মেয়ে কারিমা আক্তার মিম (২০) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক ও পারিবারিক বিরোধের জেরে গৃহবধূকে প্রায়ই নির্যাতন করা হতো।
সর্বশেষ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪ টার সময় স্বামী, শ্বাশুড়ি মিলে মারধরের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। কিন্তু স্বামীর বাড়ির লোকজন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। পরে গৃহবধূকে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় হাসপাতালে মরদেহ রেখে স্বামী ও তার স্বজনরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে লাঁশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রামেকে পাঠানো হয়েছে। তবে নিহতের পরিবারের লোকজন অভিযোগ করতে থানায় এসেছেন, বর্তমানে মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।