বিদ্যমান গেজেট অমান্য করে শুধুমাত্র মৌখিক সিদ্ধান্তে সদ্য সরকারি করণকৃত কলেজে গ্রেড অবনমন করে গ্রন্থাগারিকদের ৯ম থেকে ১০ম,সহকারী গ্রন্থগারিকদের ১০ম থেকে ১৪তম গ্রেডে নামিয়ে দিয়েছে। ফলে সরকারি হয়েও বেসরকারি আমলের তুলনায় বেতন কমেছে প্রায় অর্ধেক। অর্থ ও সম্মান হারিয়ে গ্রন্থাগার পেশাজীবিরা আজ দিশেহারা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত সদ্য সরকারি করণকৃত কলেজের লাইব্রেরিয়ান ও সহকারী লাইব্রেরিয়ানদের নিয়োগ প্রদান করা হয় বাংলাদেশ গেজেট ২০২১ (মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ) ১২ নং ক্রমিকে লাইব্রেরিয়ান গ্রেড ৯ম ও সহকারী লাইব্রেরিয়ান ১৭ নং ক্রমিকে গ্রেড ১০ম সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিদ্যমান গেজেটে নিয়োগ প্রদান করা হলেও গ্রেড অবনমন করে দেয়া হচ্ছে লাইব্রেরিয়াদের ১০ম ও সহকারি দের ১৪ তম।
এ বিষয়ে একাধিকবার অর্থ মনন্ত্রণা লয়ে যোগাাযোগ করলে উনারা জানায় কোন গেজেটের বলে নয় মৌখিক সিদ্ধান্ত এমনটি হয়েছে।
চাকুরি করা হয় বিধিমালা অনুযায়ী অথচ এই আধুনিক ডিজিটাল যুগেও গ্রন্থাগার পেশাজীবিদের মৌখিক সিদ্ধান্ত মানতে হচ্ছে।
গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২২খ্রি. তারিখে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রশাসনিক উন্নয়ন কমিটি ৪র্থ সভায় সরকারিকৃত কলেজে সহকারি লাইব্রেরিয়ান ১০ ম গ্রেড ভূক্ত। তাদের নিম্ন গ্রেড দেয়ায় জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই গ্রেড ১০ ম দেয়ার জন্য অর্থ মনন্ত্রনালয় কে সুপারিশ করেন।
পূর্বে সরকারিকৃত কলেজে সহকারী গ্রন্থাগারিকদের ১০ ম গ্রেড দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে সরকারিকৃত কলেজে তা বত্যয় ঘটেছে।
এর ফলে পেশাজীবীগণ বেসরকারি আমলের তুলনায় সরকারি হয়েও বেতন কম পাচ্ছে। উপরন্তু প্রত্যেককে ৭ থেকে ১০ লক্ষ টাকা ফেরত দেয়ার জন্য চাপ দেয়া,হচ্ছে।
সরকারি হয়েও পেশাজীবীগণ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন, সামজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। এই সমস্যা সমাধানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।