সাসপেন্স থ্রিলার অ্যাকশন মুভির আর এক নাম “সালার”। ভারতীয় উপমহাদেশে সিনেমা তৈরির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন প্রশান্ত নীল। ডার্ক ব্যাকগ্রাউন্ড, চরিত্র বিল্ডিআপ আর স্কীন প্রেজেন্টেশন সালার সিনেমাটি দর্শকদের গুজবাম্প এনে দিয়েছে।
রুচির দুর্ভিক্ষে গত ১ বছরে বলিউডের পরিচালকরা ১ ডজনের উপরে গার্বেজ গল্পের সিনেমা তৈরি করেছেন। সমসেরা, ব্রহ্মাস্ত্র, টাইগার ৩, গানপথ, পাঠান, এনিমেল ও আদিপুরুষের মতো কার্টুন সিনেমা। অন্যদিকে দক্ষিন ভারতের পরিচালকরা তৈরি করেছেন তুম্বাড, পুষ্পা, কেজিএফ, ৯৬, অশুরান, বিক্রম, কাইথি, কোবরা, থিনুভু সহ আরো অনেক দর্শক নন্দিত সিনেমা।
সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া সালার সিনেমাটি ক্রিটিকসদের নজর কেড়েছে। রেবেল স্টার প্রভাস বাহুবলির পরে এতো বড়ো স্কেলে অ্যাকশন সিকুয়েন্স করেছেন যা সমস্ত ভায়োলেন্সকে ছাড়িয়ে গেছেন। প্রশান্ত নীল সালার সিনেমাতে প্রভাসকে এমনভাবে প্রেজেন্ট করেছেন যা তার অ্যাকশন মুভমেন্টকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন।
প্রশান্ত নীল বরাবরই চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করেন। ২০১৮ সালে শাহরুখ খানের জিরো মুভির সাথে একই দিনে মুক্তি দিয়েছিলেন কেজিএফ। তখন জিরো মুভিটি ব্যার্থ হলেও কেজিএফ ১২০০ কোটির উপের ব্যবসা করেছিল। ২০২৩ সালে এসে শাহরুখ খানের ডানকির সাথে সালার মুক্তি দিয়ে আবারো আলোচনায় আসেন। ফলাফল এবারও পজেটিভ রেসপন্স পেয়ে ডানকির থেকে এগিয়ে আছে সালার। এগিয়ে থাকাটাই স্বাভাবিক মনে করছেন দর্শকরা, কারন প্রশান্ত নীলের গল্প বলার ঢঙে পরতে পরতে সাসপেন্স, থ্রিলার, ড্রামার মিশেলে ফাইটিং সিকুয়েন্স ও হার্ট টাচিং বিজিএম সিনেমাটিকে অন্যবদ্য করে তুলেছে। ৯০ এর দশকে পরিচালকরা যা তৈরি করতো দর্শকরা তাই দেখতে বাধ্য হতো কিন্তু এখন পেক্ষাপট ভিন্ন, বর্তমানে দর্শক যা পছন্দ করেন পরিচালক তাই তৈরি করেন।