র্যাবের ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ইনজেকশনের মাধ্যমে জেলি পুশ করে চিংড়ি মাছের ওজন বৃদ্ধি করে অস্বাস্থ্যকর ভাবে বাজারজাত করণের উদ্দেশ্যে ০৩টি ট্রাক ভর্তি চিংড়ি মাছ খুলনা হতে যশোর হয়ে ঢাকায় যাচ্ছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ১৯ মে ২০২২ তারিখ রাত ১১ টা১০ মিনিট হতে ২০ মে ২০২২ তারিখ রাত ৩টা৫ মিনিট পর্যন্ত র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এবং যশোর জেলা মৎস্য পরিদর্শক ও মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা এর সমন্বয়ে একটি আভিযানিক দল যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন যশোর টু মাগুরা হাইওয়ে রাস্তার উপর অস্থায়ী চেকপোষ্ট বসিয়ে চিংড়ি মাছ ভর্তি ০৩ টি ট্রাক থামিয়ে, ট্রাকের মধ্যে থাকা ৬৩টি ককসিট ভর্তি চিংড়ি মাছে ইনজেকশনের মাধ্যমে জেলি পুশ করার প্রমাণ পাওয়া যায়। উক্ত মাছের মালিক ১। সহিতোষ, ২। মোঃ হুসাইন, ৩। মুনসুর আলী, ৪। এশার আলী, ৫। মোঃ রানা, ৬। আমিরুল ইসলাম, ৭। আঃ রহমান ও ৮। বিকাশ আলীদেরকে চিংড়ি মাছে অস্বাস্থ্যকর ইনজেকশনের মাধ্যমে পুশ করা জেলি পাওয়ায় মৎস্য ও মৎস্য পণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) বিধি মালা ১৯৯৭ (সংশোধিত বিধিমালা ২০০৮) এর বিধি ৪(৪) লংঘন করায় উক্ত বিধিমালার বিধি ৪(৫) এ সর্বমোট ২,৫০,০০০/-(দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। উক্ত ৬৩টি ককসিটে থাকা আনুমানিক ০২ মেট্রিক টন চিড়িং মাছ যার মুল্য আনুমানিক ১৫,০০,০০০/-(পনের লক্ষ) টাকা জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত জেলি পুশ করা চিংড়ি মাছ মৎস্য কর্মকর্তার সম্মুখে ধ্বংস করা হয়েছে এবং মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানাকৃত টাকা চালান মোতাবেক সরকারী কোষাগারে জমা করা হয়েছে।