আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী (ঈগল মার্কা) দিলীপ কুমার আগরওয়ালার উপরে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল শনিবার রাত ১০ টার দিক নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ও নির্বাচন অফিস উদ্বোধন করতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বসুভান্ডারদহে গেলে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী ঈগল প্রতীকের প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার গাড়ী বহর থামিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও হামলা চালায়। এতে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা সহ তার কয়েক জন কর্মী লাঞ্ছিত হন। এদের মধ্যে কয়েকজন মহিলা কর্মী ছিলো বলে জানাগেছে। এসময় দিলীপ কুমার আগরওয়ালা প্রাণ বাঁচাতে প্রশাসনকে ফোন দিলে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে সদর থানার একাধিক টিম সেখানে পৌঁছায়। পরে ঘটনাস্থলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার ড. কিসিঞ্জার চাকমা, পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমানসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে বিষয়টি আমলে নেন।
এ বিষয়ে ঈগল প্রতীকের প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা অভিযোগ করে বলেন, ‘আধা ঘণ্টা ধরে গাড়ি আটকে আমার নাম ধরে নানা ধরনের অশালীন স্লোগান দেয়া হচ্ছিল। আমি গাড়ি থেকে নামলে তারা মারমুখী আচরণ করে। এছাড়াও হামলা চালানো হয় আমার কর্মীদের ওপর। তারা আমার সফরে থাকা কয়েকজন মহিলা কর্মীকেও লাঞ্ছিত করেছে। শুধু তাই নয় তারা সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক কথা বলেন, তিনি আরো বলেন, ঘটনা ঘটনার সময় সশস্ত্র অবস্থায় ২টা গ্রুপে আনুমানিক ১৯ থেকে ২০ জন এই হামলার ঘটনা ঘটায়।
পুলিশ তাত্ক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল থেকে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হাসানুজ্জামান মানিক, ভান্ডারদহ গ্রামের ফারুক হোসেন, সুমন আলী ও শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের যুগিরহুদা গ্রামের হাফিজুর রহমানকে হেফাজতে নেয়া হয়।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক দল সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
উক্ত ন্যাক্কার জনক নগ্ন হামলার বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা-১ আসন এলাকার বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জে মানুষের কানে পৌঁছানোর সাথে সাথে দিলীপ কুমারের কর্মী সমর্থক ও সাধারণ মানুষ হামলাকারীদের উপর ক্ষোভে ফেটে পরেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই বলেন, ঈগল প্রতীকের কাছে নিশ্চিত পরাজয় ঠেকাতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে দিলীপ কুমার আগরওয়ালার ঈগল মার্কার বিজয় ঠেকানো যাবেনা বলেও জানান এলাকাবাসী।
এদিকে সর্বশেষ খরব ও একটি সূত্র জানাগেছে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হাসানুজ্জামান মানিক সহ ফারুক হোসেন, সুমন আলী ও হাফিজুর রহমানকে চুয়াডাঙ্গার বিজ্ঞ আদালতে নেয়া হয়েছে।