চট্টগ্রামের বাঁশখালীর কালীপুর ইউপির ১ নং ওয়ার্ডের পূর্ব গুনাগরীর রাজারপাড়া এলাকায় জোরপূর্বক জায়গা দখল করে এক মৃত্যু ব্যক্তির লাশ দাফন কার্যক্রম করার অভিযোগ উঠেছে।
২০ ডিসেম্বর (বুধবার) ওই এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে আবু ছালেক এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, ওই জায়গাতে কবর খননের দৃশ্য।
বিরোধীয় জায়গা সংক্রান্তে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে বৈধ দলিলাদি, সার্ভেয়ার প্রতিবেদন পর্যালোচনাসহ ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলামের পরিবার সুত্রে জানা যায়, ওই এলাকার মৃত নজির আহমদের পুত্র সিরাজুল ইসলাম বিএস রেকর্ডীয় অংশ ও খরিদা দলিল নং ২৮২৫ মূলে ৬ গন্ডা, দলিল নং ৬১৮৩ মূলে ২ গণ্ডা, দলিল নং ৬৪৪ মূলে ১৬ গণ্ডা, ও দলিল নং ১০৯৫ মূলে ৪ গণ্ডাসহ বিএস রেকর্ডীয় মালিক জান্নাত খাতুন, শফিকুর রহমান, বজল আহমদ হইতে বিভিন্ন সন ও তারিখে সর্বমোট ৪ টি দলিল মুলে ২৮ শতক বা ১৪ গণ্ডা জমি খরিদ করিয়া শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখলে স্থিত আছে মর্মে ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা গেছে। এই সংক্রান্তে বিগত ১৯৭৮ ইং সনে একটি মামলায় সিরাজুল ইসলামের পক্ষে রায় ডিগ্রিও প্রদান করেন মাননীয় আদালত।
তবে এরই মধ্যে একই এলাকার মৃত শাহ আলমের পুত্র আবু আলম ও মতিন উদ্দিন গংদের কোন ধরনের মালিকনা না থাকা সত্বেও জোরপূর্বক জায়গা জবরদখল করিয়া তাদের মায়ের মরদেহ দাফন কার্যক্রম করতে চাইলে জায়গার মালিক সিরাজুল ইসলামের ছেলে আবু ছালেকসহ অন্যান্যরা এতে বাঁধা প্রদান করেন,এতে আবুল কালাম ও মতিন উদ্দিন গংরা কোন ধরনের আইনের তোয়াক্কা না করেই জোরপূর্বক ওই জায়গাতে শাহ আলমের স্ত্রী (বিবাদী) আবু আলম মঈনের মায়ের লাশ দাফন করে ফেলেছে বলে জানান আবু ছালেক।
এসময় আবু ছালেক আরো বলেন, আমাদের বাবা সিরাজুল ইসলামের নামে এই সংক্রান্তে বৈধ দলিলাদি থাকা সত্বেও বিবাদী পক্ষের লোকজন প্রভাবশালী হওয়াতে তারা গায়ের জোরে আমাদের জায়গাতে কবরস্থান করে লাশ দাফন করতেছে, আর এতে প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা না করে উল্টো বিবাদী পক্ষের লোকজনকে সহযোগিতা করছে পুলিশ, এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার,এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন তারা।
অপরদিকে মঈন উদ্দিন বলেন, এই জায়গা খরিদা মুলে আমার বাবা মৃত শাহ আলম মালিক,দীর্ঘ বছর যাবত আমাদের দখলীয় জমি, বিগত ১৯৯৩ সালে সেই জায়গাতে আমার বাবা লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়েছিল, উক্ত জায়গা বিএস জরিপ সংশোধনের জন্যে আমরা মামলা করেছি এবং আমাদের পক্ষে নিষেধাজ্ঞার অর্ডারও আছে, সেই অর্ডারের বিরুদ্ধে আবু ছালেক গংরা আপিল করেছিল, সেই আপিল মামলাটির বিরুদ্ধে মাননীয় হাইকোর্ট থেকে স্ট্রে-অর্ডার নিয়েছি, সব ডকুমেন্টস ও দখল আমাদের থাকা সত্বেও আবু ছালেক গংরা আমার মায়ের লাশ দাফন কার্যে অন্যায় ভাবে বাঁধা দিচ্ছে বলে জানান মঈন। এসময় মঈন আরো বলেন, এবিষয়ে সাংবাদিক ভাইয়েরা যদি আমাদের স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এলাকার মানুষের কাছ থেকে যাচাই করেন, তাহলে কারা অন্যায় করতেছে সেটা আপনারা বুঝতে পারবেন।
এব্যাপারে রামদাস মুন্সির হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর তপন কুমার বাকচী জানান, বিরোধপূর্ণ জায়গাতে লাশ দাফনের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, দুই পক্ষের সম্মতিতে লাশটি দাফন করা হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর ....