সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলায় দুই বন্ধু মিলে বন্ধু ওমর ফারুক (২১) নামের তাদের এক বন্ধুকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা।
এ ঘটনাটি ঘটেছে আজ(২০ নভেম্বর বুধবার) বিকালে তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট-তাহিরপুর সড়কের টাকাটুকিয়া ব্রীজ এলাকায়।
এ সময় দুই বন্ধু ওমর ফারুকের গলা কেটার পর মৃত ভেবে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ওমর ফারুকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে তাহিরপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ওমর ফারুক জেলার মধ্যনগর উপজেলার মধ্যনগর গ্রামের আব্দুছ ছালামের ছেলে।
এ নিউজ লিখা পর্যন্ত এ ঘটনার সাথে জড়িত ওমর ফারুকের ওই বন্ধুরা নাম ঠিকানা জানা যায়নি। তবে তাদের বাড়ি জেলার ছাতক উপজেলার বলে জানা গেছে। কারনে এমন ঘটনাটি ঘটেছে তাও জানা সম্ভব হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়,উপজেলার পর্যটন স্পষ্ট টাংগুয়ার হাওর,বারেকটিলা,শহীদ সিরাজ লেক,যাদুকাটা নদী,শিমুল বাগান সহ বিভিন্ন পর্যটন স্পষ্টে বেড়ানোর জন্য সকালে জেলার ছাতক উপজেলা থেকে মটর সাইকেল নিয়ে বেড়াতে আসে ওমর ফারুক ও তার দুই বন্ধু। টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরাঘুরি করে তার তিন বন্ধু তাহিরপুর উপজেলা সদর বাজারে আসে। পরে দুপুরে দিকে তাহিরপুর বাজার থেকে বাদাঘাট বাজারে যাবার জন্য তিন বন্ধু মটর সাইকেল দিয়ে রওনা হয়। যাবার পথে বাদাঘাট- তাহিরপুর সড়কের জামালগড় নামক এলাকা যাওয়ার পর তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় ওমর ফারুকের দুই বন্ধু মিলে তাকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী গুরুত্ব আহত অবস্থায় ওমর ফারুককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স টিএইছএফপিও ডাক্তার মির্জা রিয়াদ হাসান জানান,অবস্থা খুবেই খারাপ থাকায় থাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে তাহিরপুর থানার ওসি কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছে নারী সংক্রান্ত কোন বিষয় নিয়ে এই ঘটনা ঘটানো হয়ে। তবে এ ঘটনার সাথে কয়জন জড়িত তাও জানা সম্ভব হয়নি। ভিক টিমের অবস্থা খুবই আশংকাজনক। তবে এর সাথে কারা জড়িত তাদের নাম ঠিকানা ও গ্রেপ্তারের পুলিশ অলরেডি কাজ শুরু করে দিয়েছে। অভিযোগ প্রাপ্তির পর এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনার খবর পেয়ে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ দিশে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।