প্রথমবারের মতো ভারতের বাইরে চলছে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলের নিলাম। ২০২৪ সালের আসরকে সামনে রেখে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলছে এবারের মিনি নিলাম। বিভিন্ন দেশের মোট ৩৩৩ জন ক্রিকেটারের নাম উঠছে এবারের আইপিএল নিলামে। তবে স্লট ফাঁকা আছে মোট ৭৭টি। যেখানে দেশি ৪৭ ক্রিকেটারের সাথে বিদেশি কোটা ফাঁকা আছে ৩০টি।
এদিন নিলামে অলরাউন্ডারদের সেটে থাকা অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড গড়েন। তাকে ২০ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে দলে ভেড়ায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। কিন্তু ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে সেই রেকর্ড ভেঙে দেন তারই স্বদেশী পেসার মিচেল স্টার্ক। ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে স্টার্ককে দলে ভিড়িয়েছে কলকাতা।
আট বছর পর আইপিএলের নিলামে নাম দেওয়া স্টার্কের ভিত্তিমূল্য ছিল ২ কোটি রুপি। সেখানে কলকাতা নাইট রাইডার্স আর গুজরাট টাইটান্সের লড়াইয়ে ১০ মিনিট ধরে চলে স্টার্কের বিড। কামিন্সের রেকর্ড ২০ কোটি ৫০ লাখ রুপির ছাড়িয়ে গুজরাট বলে সর্বকালের রেকর্ড দাম ২১ কোটি। এরপর আরও কয়েকবার দাম বাড়ালেও শেষ পর্যন্ত ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে জয় হয় কলকাতার।
এর আগে, অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কামিন্সকে নিতে গুরুতেই আগ্রহ প্রকাশ করে চেন্নাই সুপার কিংস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এই দুই দলের লড়াইয়ে কামিন্সের দাম ৬ কোটি উঠলে লড়াই থেকে সরে যায় মুম্বাই। মুম্বাই সরে গেলে সেখানে কামিন্সকে কেনার লড়াইয়ে যুক্ত হয় রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। চেন্নাইয়ের সঙ্গে সমানতালে লড়াই চালিয়ে যায় তারা।
চেন্নাই-বেঙ্গালুরুর লড়াইয়ে কামিন্সের দাম ১৩ কোটি টাকা উঠলে সরে দাঁড়ায় চেন্নাই। এরপর হায়দরাবাদ যোগ দেয় কামিন্সকে কেনার লড়াইয়ে। বেঙ্গালুরু-হায়দরাবাদ, দু’দলের কেউই হাল ছাড়তে চাইছিল না। আর তাতে তর তর করে দাম বাড়ছিল সদ্য বিশ্বকাপজয়ী এই ক্রিকেটারের। শেষ পর্যন্ত কামিন্সের দাম ২০ কোটি ছাপিয়ে গেলে সরে দাঁড়ায় বেঙ্গালুরু। ২০ কোটি ৫০ লক্ষ রুপিতে কামিন্সকে কিনে রেকর্ড গড়েন হায়দরাবাদের মালিক কাব্য মারান।
কিন্তু ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই আইপিএলের সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে স্টার্ককে নিয়েছে কলকাতা। এর আগে এ রেকর্ড ছিল ইংলিশ অলরাউন্ডার স্যাম কারেনের। গত মৌসুমে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালসেরাকে আইপিএলের ইতিহাসে রেকর্ড সাড়ে ১৮ কোটিতে কিনেছিল পাঞ্জাব কিংস।