1. admin@crimenews24.net : cn24 :
  2. zpsakib@gmail.com : cnews24 :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সালের সময়ে আওয়ামী লীগ বধ্যভূমি তৈরি করেছিল: টুকু সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের উপর হামলা এবং ডিসি কর্তৃক গালাগাল করার প্রতিবাদে মানববন্ধন নিজের চেহারা একবার আয়না দিয়ে দেখুন: মৌলভীবাজারে জামায়াতের আমীর শ্রীমঙ্গলে শিশু ধর্ষণ মামলায় আটক ২ তানোরে দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রতারণায় প্রথম স্ত্রী নিঃস্ব সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সড়ক ও জনপদের জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ রাজশাহীতে হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে আটক- ৮ সাতক্ষীরা কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কালো ব্যাজ ধারণ ও প্রতিবাদ সভা মাছের উৎপাদন বৃদ্বিতে সুন্দরবনে প্রকল্প হাতে নিয়েছে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্তে অর্ধকোটি টাকার ভারতীয় পণ্য আটক 

কাজিরহাটে সন্ধার পরে শীতের পিঠা খাওয়ার ধুম

তাহমিদ রাজিব, শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি :
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৪০ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
শরীয়তপুরের জাজিরায় শীত মানেই পিঠা-পুলির দিন। পিঠার ঘ্রাণে ম-ম করবে চারদিক। এমন কিছু ভাবনাইতো বাঙালির মানসপটে জায়গা করে নেয়। হালকা শীতল আমেজ নিয়ে আসা বিকেল কিংবা সন্ধ্যায় এখন পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে। জমে উঠেছে রাস্তার পাশে পিঠা বেচাকেনার দোকান।
চলতি পথে থেমে কেউ বা আড্ডায় বসেই সন্ধ্যার নাশতাটা সেরে নিচ্ছেন গরম গরম ভাপা পিঠা দিয়ে। বিক্রেতার সঙ্গেও আলাপ করে জানা গেল, বেচা-বিক্রি বেশ ভালোই। তাই এই শীতের মৌসুমে পিঠা বিক্রিকে বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখে গেছে, জাজিরার কাজিরহাট বাস স্টানে  মহাসড়কের পাশেই  বসেছে আবুল হোসেন ভায়ের ভাপা পিঠার দোকান। আগাম ধানের ভাপা পিঠা খেতে দোকানের চারদিকে ঘিরে আছে ক্রেতারা। নতুন ধানের পিঠার সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় বাড়ছে ক্রেতার সংখ্যাও। ধানের তৈরি করা চালের গুড়া, খেজুরের গুড় ও নারিকেল দিয়ে তৈরি হচ্ছে ভাপা পিঠা। প্রতি পিস স্পেশাল ভাপা ২০ টাকা, নরমাল ভাপা পিঠা ১০ টাকা। দাঁড়িয়ে খাওয়ার পাশাপাশি অনেকেই নিয়ে যাচ্ছেন নিজেদের পরিবারের জন্য।
ভাপা পিঠা বিক্রেতা আবুল হোসেন (৫০) বলেন, আমি ১৫ বছর যাবত এখানে ভাপা পিঠা বিক্রি করি। মানুষ আমার পিঠা প্রচুর  পছন্দ করে। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করছি। শীতের তীব্রতা বাড়লে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি হবে। সেই অপেক্ষায় রয়েছি। শীত আসলে আমি এই ৪ মাস বাজারে ভাপা পিঠা বিক্রি করি। অন্য সময় আমি ভ্যানচালক ।
তিনি আরও বলেন, শীত আসলে কষ্ট করে আর ভ্যান চালাই না। শীতের মধ্যে ভাপা পিঠার প্রচুর চাহিদা এখানে। তাই শীতের ৪ মাস  প্রতিদিন পিঠা বিক্রি করি। এই চার মাস আমার বেচাকেনা অনেক ভালো থাকে। ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা করিয়েছি, বাড়িতে নতুন ঘর  দিয়েছি। এখন ছেলেকে ইতালি পাঠাবো ইনশাআল্লাহ।
কাজিরহাট ব্রাক অফিস এলাকার বাসিন্দা ওয়াসিম বলেন, আমি প্রতিনিয়ত এখানে পিঠা খেতে আসি। অন্য সব যায়গার তুলনায় এখান কার পিঠার মান ভালো। না খেলে আসলে বুঝবেন নাহ। তাই বন্ধুদের নিয়ে এখানেই চলে আসি পিঠা খেতে।
মনাই সৈয়াল কান্দির খবির বেপারি বলেন, এখান কার পিঠা খুবেই মজা।  আমার ওয়াইফ বলেছে পিঠা নিয়ে যেতে তাই চলে আসছি আবুল ভায়ের ভাপা পিঠার দোকানে। স্থানীয়রা সবাই আবু পিঠা নামেই তাকে চিনে।
কথা হয়  মোহাম্মদ আলী মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, গ্রামে শীত নেমেছে। শীত আসার পর থেকে পিঠা বিক্রি শুরু হয়েছে। আমার পছন্দের ভাপা পিঠা। এক সময় মায়ের হাতে বানানো পিঠা খেয়েছি।
আকবর আলী খান জানান, প্রতিদিন কাজ শেষে বাসায় ফেরার সময় চোখে পড়ে এ শীতের পিঠা। আর শীতকালীন সময়ে এ পিঠার লোভ কে সামলাতে পারে। তাই প্রতিদিন পিঠা খেতে এখানে আসি
পিঠে খেতে আসা শাহালোম নামে এক ক্রেতা বলেন, নতুন ধানের ভাপা পিঠা খেয়ে অনেক ভালো লাগছে। ধানের পিঠার আগাম স্বাদ পেলাম।
কাজিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী সুজন কাজী বলেন, আমি প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর এসব দোকান থেকে পিঠা খাই। আগে যদিও বাড়িতে এসব পিঠা বানানোর হিড়িক পড়তো এখন তা আর দেখা যায় না।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর ....
© All rights reserved © 2022 crimenews24.net
Design & Developed By : Anamul Rasel