চুয়াডাঙ্গায় বেড়েই চলেছে শীতের তীব্রতা। হাড় কাঁপানো শীতে চুয়াডাঙ্গার জনপদের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত। তীব্র শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হওয়া খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন বিপাকে। হেডলাইট জ্বালিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। হিম বাতাসে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ আর ছিন্নমূল মানুষ। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন অনেকে।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।
ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে দুর্ভোগ। এতে কষ্টে আছেন খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ। শীতে সময় মতো কাজে যেতে পারছেন না তারা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও কমেনি শীতের দাপট।সরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু না হওয়ায় শীতে কষ্ট বেড়েছে হতদরিদ্রদের।
এদিকে তীব্র ঠান্ডায় দেখা দিচ্ছে শীতজনিত নানা রোগ। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা হাসপাতালে ভিড় করছেন নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে। গত ১০ দিনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশুসহ ১ হাজারের বেশি রোগী ঠান্ডাজনিত কারণে আউটডোরে চিকিৎসা নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আতাউর রহমান।
শহীদ হাসান চত্বরের ভ্যানচালক করিম মিয়া জানান, ‘শীতে সকালে বের হতি পারছিনি। ঠান্ডায় হাত পা অবস হয়ি যাচ্চি। সকালে রাস্তায় লোকজন থাকচে না। ভাড়াও হচ্চে না।’
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।