বাংলাদেশ জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহীমের বিরুদ্ধে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তুলেছে দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল। এতে সেই চ্যানেলকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এই টাইগার ক্রিকেটার।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনে বিরল এক আউটের শিকার হন মুশফিক। বল হাতে ধরে ‘হ্যান্ডেলড দ্য বল’ আইনে আউট হন টাইগার উইকেটকিপার এই ব্যাটার। যা বর্তমানে ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আউটের আওতাভুক্ত।
এরপর ‘মিরপুর টেস্টে স্পট ফিক্সিংয়ের গন্ধ! সন্দেহ সিনিয়র ক্রিকেটারের দিকে!’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে ৭১ টিভির ক্রীড়াবিষয়ক সংবাদমাধ্যম খেলাযোগ। এতে আইনজীবীর মাধ্যমে টিভি চ্যানেলটিকে আইনি নোটিশ পাঠান মুশফিক।
টাইগার ক্রিকেটারের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চ্যানেলটির হেড অব নিউজ, ক্রীড়া সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের কাছে বিষয়ের নিষ্পত্তি চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আইনি নোটিশে চারটি বিষয়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষ্পত্তি চাওয়া হয়েছে-
১. অতি সত্বর ইউটিউবসহ অন্যান্য প্লাটফর্ম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অসত্য ও মনগড়া প্রতিবেদনটি সরিয়ে ফেলতে ও সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
২. ভুল ও অসত্য এবং মানহানিকর তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদনের জন্য ৭১ টেলিভিশনকে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনাসহ তাদের টিভি চ্যানেলে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রচার করতে বলা হয়েছে।
৩. ৭১ টেলিভিশনকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তাদের এই মনগড়া, ভুল প্রতিবেদনের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।
৪. সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক সাইফুল রূপককে ভবিষ্যতে এমন অসত্য ও মনগড়া প্রতিবেদন না করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে মর্মে মুশফিকুর রহিমের নিকট লিখিতভাবে ৭১ টেলিভিশন কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলা হয়েছে।
নোটিশে উক্ত প্রতিবেদন দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় মানহানির অপরাধ ও সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ এর ২৫(১)(ক), ২৫(২) এবং ২৯ ধারায় সাইবার বুলিংয়ের অপরাধ উল্লেখ করে এর প্রতিকার না পেলে ফৌজদারি ও ক্ষতিপূরণ আদায়ে দেওয়ানী আদালতে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসের ৪১তম ওভারে কাইল জেমিসনের উইকেটের ওপর করা ডেলিভারিতে ব্যাকফুটে খেলেছিলেন মুশফিক। বল ব্যাটে লাগার পর মাটিতে পরে লাফিয়ে উঠে। ওই সময় বল স্টাম্পের দিকে ধেয়ে না আসলেও হঠাৎই বলটি হাত দিয়ে সরিয়ে দেন মুশফিক। স্টাম্পে লাগতে পারে ভেবে খানিকটা ইচ্ছাকৃতভাবেই বলটি সরিয়ে দেন তিনি। বাংলাদেশের এই ক্রিকেটারের এমন কাণ্ডে আবেদন করেন জেমিসন। তাকে সঙ্গ দেন নিউজিল্যান্ডের বাকি ফিল্ডাররাও।
পরবর্তীতে তৃতীয় আম্পায়ার ভিডিও দেখে মুশফিককে আউট ঘোষণা করেন। এতে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট হয়েছিলেন তিনি।