দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ঢাকা-৬ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাঈদ খোকনের বর্তমানে বার্ষিক আয় ১১ কোটি ৫৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫৬ টাকা। এ হিসাবে তার মাসে আয় প্রায় কোটি টাকা। আট বছর আগে তার বার্ষিক আয় ছিল ৪১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৮০ টাকা। যেটা মাসে হিসাব করলে দাঁড়ায় সাড়ে ৩ লাখের কিছুটা কম। ৮ বছরের ব্যবধানে তার আয় বেড়েছে ২৮ গুণের মতো।এ সময় তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মূল্যও বেড়েছে, যা এখন ১৫২ কোটি টাকার বেশি। তার স্ত্রীর সম্পদ বেড়ে হয়েছে ৮৬ কোটি টাকার বেশি।
২০২৩ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ও ২০১৫ সালে মেয়র নির্বাচনের সময় তার জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণে এসব তথ্য জানা গেছে।
সাঈদ খোকন ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ছিলেন। এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।
এবারের হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, সাঈদ খোকনের নিজের অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ৭৭ কোটি ৯২ লাখ টাকার। আর তার স্ত্রীর নামে অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ৮৫ কোটি ৩ লাখ টাকার। দুজনের মোট অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৬৩ কোটি টাকা। আট বছর আগে এই দম্পতির অস্থাবর সম্পদ ছিল ২৩ কোটি ৮১ লাখ টাকার। দুজনের অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ১৩৯ কোটি টাকার।হলফনামায় সাঈদ খোকন নিজের ৭৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার এবং তার স্ত্রীর নামে সাড়ে ১১ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ রয়েছে উল্লেখ করেছেন। আট বছর আগের হিসাবে সাঈদ খোকনের স্থাবর সম্পদ ছিল ২৬ কোটি ৯১ লাখ টাকার। ৮ বছরের ব্যবধানে তার স্থাবর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৪৮ কোটি টাকার।
মেয়র হওয়ার আগে সাঈদ খোকনের বার্ষিক আয় ছিল ৪১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। বর্তমানে সেটা ১১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। হলফনামা অনুযায়ী, ৮ বছরের ব্যবধানে তার আয় বেড়েছে ২৭ গুণের বেশি। এর মধ্যে বাড়িভাড়া থেকে ৬ কোটি ৪০ লাখ এবং বন্ড থেকে ৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা আয় করেন তিনি।
সম্পদ বৃদ্ধির পাশাপাশি কমেছে তার দায়দেনা। ৮ বছর আগে সাঈদ খোকনের দেনা ছিল ১৯ কোটি ২৭ লাখ টাকার। বর্তমানে তার দায় ৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকার।