মুন্সিগঞ্জ শ্রীনগরের বীরতারা ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইস্রাফিল শেখ ও একই ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শেখ মোঃ ইসলামের আশ্রয়- প্রশ্রযে তার অপর দুই ভাই আশ্রাফুল হোসেন ও আসলাম শেখ গুম নাটক অর্থ আত্মসাৎ সহ একাধিক অপরাধ করেও দুই ভাইয়ের যৌথ দলীয় কারিশমায় রয়ে যাচ্ছেন ধরা ছোঁয়ার বাহিরে তাদের পিতা আব্দুর রহমান গ্রামের বাড়ি হাসাড়া ইউপির সাতগাঁও হলেও বর্তমান বসতি মিরপুর। সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রটি সহজ সরল মানুষকে ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে সু-কৌশলে বিভিন্ন মানুষের নিকট হতে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিয়ে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনেছেন।চক্রটি ঢাকা বিজয়নগর পলওয়েল মার্কেটে ‘Deer Club bd’ “ডিয়ার ক্লাব বিডি” নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালুর পাশাপাশি ঢাকার বিভিন্ন স্থানে নাম মাত্র আরো ৬/৭টি শোরুম খুলে কৌশলগত প্রতারণার ফাঁদ তৈরি পূর্বক কাপড়ের ব্যবসার কথা বলে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে প্রায় ২কোটি টাকার উর্ধ্বে হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। টাকা হাতিয়ে চক্রটি তাদের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ইস্রাফিলের আপন ভাই শেখ আসলামের এর নিখোঁজ হওয়ার নাটক সৃষ্টি করে প্রতারিতদের উল্টো অপহরণ ও গুম মামলার হুমকি দিতে থাকেন।কথিত নিখোঁজ বা গুম হওয়া শেখ আসলাম ২০১২ সালে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয় যায়। অতপর ২০১৬ সালে ইউরোপে তার বড় ভাইদের কাছে পৌঁছান। বর্মাতনে শেখ আসলাম ইতালির মিলানো শহরে বসবাস করছেন।মেজো ভাই মোঃ আশ্রাফুলের বসবাস ফ্রান্সে।মো ইস্রাফিল ও তার ছোট ভাই শেখ আসলাম তাদের যাবতীয় ব্যবসা-বানিজ্য দেখাশুনা করছেন অন্য দিকে বাকি সহোদরেরা নিজেদের কে রাজনৈতিক নেতা বানাতে মরিয়া।মোঃইস্রাফিল আলম ও মোঃ ইসলাম শেখ দুজনই তার ভাইদের রেখে যাওয়া ব্যবসা-বানিজ্য সুকৌশলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী পরিচালনা করে আসছেন।
হাঁসাড়া ইউনিয়ন এর মুরসালিন মোল্লা জানান,পাওনাদারগণ তাদের টাকার কথা বললেই পাওনাদের নিকট বলেন তার ভাই নিখোঁজ তারা কিছু জানে না বলে গাঁ বাঁঁচানোর চেষ্টা করেন, তার ভাই মোঃ আসলাম শেখ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে, টাকা দিতে পারবেনা বলে দেন। পাওয়ানাদারগণ টাকার জন্য বেশি চাপ প্রয়োগ করলে পাওয়ানাদের বিরুদ্ধে অপহরণ বা গুমের মামলা দেওয়ার ভয়ভীতি দেখানো হয়।মোঃ আশ্রাফুল শেখ ও মোঃ ইস্রাফিল শেখকে চাঁপ দিলে উল্টো পাওনাদার ও তার আত্মীয় স্বজনের নামে মামলা দেওয়া সহ তার ভাই আসলাম শেখ কে গুম করে ফেলার অভিযোগ দিয়ে হুমকি প্রদান করেন।বড় ভাই মোঃ আশ্রাফুল হোসেন থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন,বর্তমানে ফ্রান্স বি এন পির সাথে সক্রীয়ভাবে জড়িত। মোঃ ইস্রাফিল আলমও কুয়েত থাকা অবস্থায় বিভিন্ন প্রবাসীদের কাছ থেকে বিভিন্ন উপায় মোটা অংকের টাকা পয়সা হাতিয়ে নেন। আপন খালাতো ভাইয়ের স্ত্রীর নিকট হতে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নেন।
সুকৌশলে বীরতারা ইউনিয়ন বি এন পির সাধারণ সম্পাদক হয়ে পাওয়নাদারকে নানাবিধ ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন, তার সাথে বিএনপির অনেক কেন্দ্রীয় নেতাদের সুসম্পর্ক রয়েছে দাবি করে হুমকি দিয়ে বলছেন দল সরকার গঠন করলে পাওনাদারদের এলাকা ছাড়া করবেন।অন্য দিকে টাকার বিনিময়ে বীরতারা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পদ ভাগিয়ে নেন শেখ ইসলাম।মজিদপুর দয়াহাটার বারেক শেখের পুত্র শরিফ শেখ
জানান, তারা আমাদের পাওনা টাকা না দিয়ে বিভিন্ন নেতা কর্মীদের সাথে ছবি তুলে ব্যানার ফেস্টুন করে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পিঠ বাঁঁচানোর চেস্টা করে যাচ্ছে। ইশ্রাফিল আলম পাওনা টাকা ফেরত না দিয়ে, বিএনপির অঙ্গ সংগঠনকে দীর্ঘদিন যাবৎ আথির্ক মোটা অংকের অনুদানকারী হিসেবে নিজেকে দাবী করারপাশাপাশি বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ে বিপুল পরিমান অর্থ প্রদান করে আসছেন, অথচ পাওনাদারদের টাকা পয়সা দেওয়ার কোন চিন্তা তার মাথায় নেই বললেই চলে। গুলশান হলি আর্টিজেনে সন্ত্রাসী হামলার পর র্যাব একটি আদেশ জারি করেন, যাদের পরিবারের ছেলে-মেয়ে নিখোঁজ আছে তারা যেন র্যাব সদর দপ্তরে অবহিত করেন,বিধিবাম শেখ আসলামের পরিবার ভুলেও র্যাব এর আদেশ বা নোটিশ কর্নপাত করেনি বা করার প্রয়োজন মনে করেনি। এতে করে তাদের গুম বিষয় টি যে একটি নাটক তা পাওনাদার সহ সকলের নিকট পরিষ্কার হয়ে যায়।