চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সাধনপুরে জায়গা জবরদখল চেষ্টায় ঘেরাবেড়া ভাংচুর করে ও ঘরে ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর করে স্বর্ণালংকার, মোবাইল, টাকা ও মালামাল লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে বাঁশখালী থানায় ১২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে প্রবাসীর স্ত্রী হামিদা।
৪ ডিসেম্বর (সোমবার) উপজেলার সাধনপুর ইউপির ৪ নং ওয়ার্ড এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। ওই এলাকার আব্দুস সবুর, আব্দুস সামাদ, আব্দুল গফুর ও আবুল হোসেনের নেতৃত্বে এই তাণ্ডব চালিয়েছে বলে মামলার সুত্রে জানা গেছে।
এজাহার ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায়, ওই এলাকার শামসুল ইসলামের ছেলে প্রবাসী ওবায়দুল ইসলাম একই এলাকার মোঃ হেলাল উদ্দিন তালুকদার ও সাবেক মেম্বার মোঃ আলমগীর বাদশার কাছ থেকে ৬০২৬ নং কবলা মূলে ১০ গণ্ডা বা ২০ শতক জমি খরিদ করে, যাহার বিএস খতিয়ান নং ২৫৯ এবং বিএস ৩২ দাগে আপোষ চিহ্নিত মতে ভোগদখলে থাকিয়া বিএস ৮৩০ নং নামজারি খতিয়ান সৃজনসহ বৈধ দলিলাদীর মালিক হওয়াতে উক্ত জায়গাতে বহুঅর্থ ব্যয়ে পাকা খুঁটি ও কাটা তারের নেটের ঘেরোওয়া উল্লেখিত আসামীদের নেতৃত্বে দেশীয় তৈরি দ্যা,কিরিচ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই সব ঘেরাবেড়া ভাংচুর করে নিয়ে যায়, এসময় তারা ঘরে ঢুকে হামিদা আক্তারকে মারধর করে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে বলেও জানায় ভুক্তভোগী হামিদা।
ঘটনার পূর্ব থেকে আসামীরা ভুক্তভোগী পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকিসহ স্কুলে পড়ুয়া ছেলে রাকিবকে পথরোধ করে তাড়া করাতে নিরাপত্তার জন্যে বাঁশখালী থানায় জিডি নং ১৭০ দায়ের করে, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এই তাণ্ডব চালিয়েছে। ভাংচুর করার সময় আসামীরা প্রকাশ্যে বলছে যে স্থানীয় চেয়ারম্যানের নির্দেশে তারা এই গুলো ভেঙে নিয়ে যাচ্ছে বলেছে জানান হামিদা , এছাড়াও ঘটনার আগে সকল বৈধ কাগজপত্র নিয়ে ভুক্তভোগীরা চেয়ারম্যানের কাছে গেলেও তাদের কোনো কথাই শুনতে রাজি হননি বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবার, সরকার ও প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন তারা।
এবিষয়ে সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কে এম সালাউদ্দিন কামালের মোবাঃ ০১৮১৯-৯১৮২৫২ তে যোগাযোগ করলে তিনি কথা বুঝা যাচ্ছে না বলে সংযোগ কেটে দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রামদাস মুন্সিরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর তপন কুমার বাকচী জানান, এবিষয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী পরিবার এজাহার দায়ের করাতে এটি মামলা হয়েছে।