যুদ্ধবিরতি চুক্তি শেষ হওয়ার পর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে অন্তত ১৮০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন এক হাজারের মতো বেসামরিক মানুষ।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল থেকে শুরু হয় এ হামলা।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে এক সপ্তাহ ছিল যুদ্ধবিরতির চুক্তি। চুক্তি শেষ হওয়ার পরই গাজার খান ইউনুস এলাকায় ব্যাপক বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে গাজার আকাশ ধোঁয়ায় ভরে যায়। এ সময় সেখানের বাসিন্দারা ঘরের বাইরে চলে আসেন।
গাজার স্বাস্থ্য কর্মীরা জানান, যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলের হামলায় ১৮০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৫৮৯ জন। এ ছাড়া ২০টি বাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।
এ ঘটনায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুসাইন আমির আবদুল্লাহিয়ান বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুতে জাতিসংঘ বিশেষ করে নিরাপত্তা পরিষদ তাদের আইনগত এবং নৈতিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হলো ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন সমর্থন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমাদের সাহসের সঙ্গে স্বীকার করে নিতে হবে ফিলিস্তিন ও ফিলিস্তিনিদের প্রশ্নে আইনগত ও নৈতিক পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে জাতিসংঘ। এই ব্যর্থতার একমাত্র কারণ হলো দখলদার বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা সমর্থন। এ ছাড়া ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনতেও কোনো পদক্ষেপ কার্যকর করতে দিচ্ছে না মার্কিন প্রশাসন। এটি আসলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘ ব্যবস্থার জন্য একটি নৈতিক ব্যর্থতা এবং বিবেকের অবমূল্যায়ন।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলা চালায়। জবাবে ওই দিনই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর মধ্যে জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের কয়েকটি জায়গায় আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালায় ইসরায়েলি সেনারা। পরে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর ৪৮ দিন পর গত ২৪ নভেম্বর থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।