যুদ্ধবিরতি শেষ হতেই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে এ হামলা চালানো হয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ইসরায়েলের বিমান এবং স্থল বাহিনীর অভিযান শুরুর পর বিমান বাহিনী গোলা বর্ষণ শুরু করে। এতে উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ সিটিতে অন্তত ৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শহরটি মিশর এবং গাজার সীমান্তপথ রাফাহ ক্রসিং-সংলগ্ন। অল্প সময়ের ব্যবধানে উপত্যকার প্রধান শহর গাজা সিটিতে বিমানবাহিনীর হামলায় নিহত হন আরও ২ ফিলিস্তিনি।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাজার আল আহলি হাসপাতালের চিকিৎসক ফাদেল নাঈম।
গাজার হামাস নেতৃত্বাধীন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উপত্যকার অন্তত ১০০টি স্থানে গোলা বর্ষণ করেছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী।
শুক্রবার ভোরের দিকে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হিলোটের বাসিন্দারা সাইরেনের শব্দে জেগে ওঠেন।
গাজা থেকে রকেট ছোড়া হয়েছিল এবং ক্ষেপণাস্ত্র সুরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সেই রকেট আঘাত হানার আগেই তা ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে বলে জানায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
আইডিএফ এই ঘটনার পর এক তাৎক্ষণিক বিবৃতিতে গাজায় ফের অভিযান শুরুর ঘোষণা দেয়।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলা চালায়। জবাবে ওই দিনই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর মধ্যে জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের কয়েকটি জায়গায় আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালায় ইসরায়েলি সেনারা।
পরে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর ৪৮ দিন পর গত শুক্রবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির এ চার দিনে হামাস ৫০ জন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে; বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের কারাগারে বন্দি ১৫০ ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেবে এবং গাজায় ত্রাণবাহী ২শ’ ট্রাকের পাশাপাশি ১ লাখ ৪০ হাজার লিটার জ্বালানি ও গ্যাসভর্তি অন্তত চারটি লরি প্রবেশের অনুমোদন দেবে।