হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সাময়িক যুদ্ধবিরতির চুক্তির অংশ হিসেবে ষষ্ঠ দফায় ৩০ ফিলিস্তিনিকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বার্তাসংস্থা এএফপি ও সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
এর আগে ১০ ইসরায়েলিসহ আরও ১৬ বন্দির মুক্তি দেয় হামাস।
বর্ধিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে চূড়ান্ত পর্যায়ে ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে বুধবার রাতে মুক্ত করা হয়েছে বলে ইসরায়েলি কারা কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি কারাগার পরিষেবা বলেছে, রাতে ৩০ জন পুরুষ ও নারী নিরাপত্তা বন্দিকে বেশ কয়েকটি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে আহেদ তামিমি নামে ২২ বছর বয়সী এক তরুণীও রয়েছেন। এই তরুণী ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধের প্রধান ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন। ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টের জন্য তাকে আটক করা হয়।
ইসরায়েল জানায়, আহেদ তামিমি সেই ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ইসরায়েলিদের গণহত্যার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি হিটলারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। তার পরিবার অবশ্য সেসময় তেমন কোনো পোস্ট দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছিল। সেসময় তার মা নারিমানে বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়াই জানেন না আহেদ তামিমি।
এর আগে বুধবার (২৯ নভেম্বর) ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পান আরও ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দি। তাদের মধ্যে রয়েছেন ১৫ জন নারী ও ১৫টি শিশু।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলা চালায়। জবাবে ওই দিনই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর মধ্যে জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের কয়েকটি জায়গায় আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালায় ইসরায়েলি সেনারা।
পরে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর ৪৮ দিন পর গত শুক্রবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির এ চার দিনে হামাস ৫০ জন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে; বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের কারাগারে বন্দি ১৫০ ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেবে এবং গাজায় ত্রাণবাহী ২শ ট্রাকের পাশাপাশি ১ লাখ ৪০ হাজার লিটার জ্বালানি ও গ্যাসভর্তি অন্তত চারটি লরি প্রবেশের অনুমোদন দেবে।