ভারতের কাশ্মীরে শ্রীনগর ডাল লেকে হাউজবোটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া তিন বাংলাদেশির মধ্যে দুজন রাঙ্গামাটি গণপূর্তের কর্মকর্তা। তারা চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রাক্তন ছাত্র। নিহত অপরজন ঠিকাদার।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত খবরে জানা গেছে, শনিবার (১১ নভেম্বর) ভোরে সংঘটিত এই অগ্নিকাণ্ডে এই তিন বাংলাদেশিসহ মোট আট জন মারা গেছেন।
কাশ্মীর পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিহত তিন পর্যটকের মধ্যে আছেন চুয়েটের ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষের পুরকৌশল বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও রাঙামাটি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অনিন্দ্য কৌশল, কুয়েটের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের পুরকৌশল বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইমন দাশগুপ্ত এবং ঠিকাদার মো. মাইনুদ্দিন। এ ঘটনায় আরও সাতজন অগ্নিদগ্ধ হন।
কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল ভোরে ডাল লেকে নোঙর করে রাখা একটি হাউস বোটে আগুন লাগে। এরপর সেই আগুন আশপাশে থাকা আরও কয়েকটি বোটে ছড়িয়ে পড়ে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গতকাল ভোরের এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচটি হাউস বোট পুড়েছে। এর মধ্যে এক বোটে থাকা তিনজন বাংলাদেশি পর্যটক মারা গেছেন। আর দগ্ধ হয়েছেন সাতজন।
হাউস বোটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। কাশ্মীরের কর্মকর্তারা জানান, ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক তার থেকে আগুনের সূত্রপাতের কথা প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
তবে মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত না করে একই বিভাগের রাঙ্গামাটির উপসহকারী প্রকৌশলী জয় বড়ুয়া বলেন, ‘বিষয়টি আমিও শুনেছি। তবে এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। নানাভাবে খবর নেওয়ার চেষ্টা করছি। স্যার (অনিন্দ্য কৌশল) গত ৩ নভেম্বর ভারতে গেছেন। তার আজমীর শরীফ যাওয়ার কথা। সেখান থেকে কাজ শেষে কাশ্মীরে যাচ্ছিলেন বলেও জানিয়েছিলেন।
রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান এই প্রতিবেদকের কাছে বিষয়টি জেনে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী ভারতে আছেন, সেটা জানি। তিনি খুবই ভালো মানুষ। এমন ঘটনা শুনে খুব খারাপ লাগছে। আমি এখনই খোঁজখবর নিচ্ছি।