সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, কাজী ফিরোজ রশীদের আত্মজীবনীমূলক বইটিতে ভিন্ন ধাঁচে ঘটনাবহুল জীবনের কাহিনী উঠে এসেছে। বইটিতে ১৯৬৬ সালের ছয় দফা থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন ঘটনাবলী বিবৃত হয়েছে। স্পীকার বলেন, ‘জার্নি টু পার্লামেন্ট’- বইটি ইতিহাসের অমূল্য দলিল।
জাতীয় সংসদ ভবনের এল.ডি হলে রাজনীতিবিদ ও সাবেক মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি কর্তৃক লিখিত ‘জার্নি টু পার্লামেন্ট’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে স্পীকার আজ এসব কথা বলেন। এসময় স্পীকার গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন।
সাবেক চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ এমপি’র সভাপতিত্বে অনন্যা প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী মনিরুল হক এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মিজানুর রহমান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য নাজমুল হাসান কলিমুল্লাহ, বিচারপতি শামসুদ্দিন আহমেদ মানিক এবং জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি বইটির প্রসঙ্গে আলোচনা করেন।
এসময় জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি এবং রুস্তম আলী ফরাজী এমপি উপস্থিত ছিলেন।
স্পিকার বলেন, বইটিতে লেখকের জন্ম থেকে শুরু করে কৈশোর, শিক্ষা জীবন, রাজনীতিতে হাতে খড়ি এবং গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসা সবই চমৎকারভাবে বিবৃত হয়েছে। তিনি বলেন, এই বইটির মাধ্যমে লেখক সংসদীয় গণতন্ত্রের যাত্রা অব্যাহত থাকার প্রতি শুভকামনা জানিয়েছেন।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে এসেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন প্রক্রিয়ার সাথে কাজী ফিরোজ রশীদ যুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, কাজী ফিরোজ রশীদ ভাগ্যবান যে তিনি বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পেয়েছিলেন। তাই বঙ্গবন্ধু তাকে যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
স্পিকার বলেন, বইটি বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের জন্য একটি ভালো গবেষণামূলক গ্রন্থ হতে পারে, যার মাধ্যমে ইতিহাসের অনেক কিছুই জানা যাবে। এসময় তিনি কাজী ফিরোজ রশীদকে প্রথম গ্রন্থ রচনা ও প্রকাশের জন্য অভিনন্দন জানান এবং ভবিষ্যতে আরও লেখনী পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদগণ, বিশিষ্ট আলোচকবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মীগণ এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।