রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গত ৯ দিন ধরে তালা ঝুলছে। কার্যালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশের সদস্যরা। সেখানে দলটির কোনো নেতাকর্মীর আনাগোনাও দেখা যায়নি।
সোমবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে কার্যালয়ের সামনে এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে দলটির নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে প্রাণহানিরও ঘটনা ঘটে। পরদিন ২৯ অক্টোবর থেকে দলটির কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের অংশের সড়কটি ‘ক্রাইম সিন’ হিসেবে ঘোষণা করে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে তখন জানানো হয়, অপরাধ তদন্তের জন্য পুলিশের আলামত সংগ্রহের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কার্যালয়টি বন্ধ থাকবে।
বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ভ্যানে ডাব বিক্রি করেন মো. ওয়ালীউল্লাহ। তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপির পার্টি অফিস বন্ধ। এখানে লোকজনও আসে না, কার্যালয়ও খোলে না।
এদিকে সোমবার সকাল ৬টা থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপির ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি চলছে। অবরোধ চলাকালে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর ও গাজীপুর মহানগরে দুটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এর আগে, রোববার দ্বিতীয় দফার অবরোধের প্রথম দিনে সারাদেশে ১৯টি গাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। দ্বিতীয় দফার অবরোধ শেষ হলে একদিন বিরতি দিয়ে ফের দুদিন অবরোধ বা হরতাল কর্মসূচির কথা ভাবছে দলটি।
এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আবারও কর্মসূচি দেওয়া হবে। দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ীই কর্মসূচি আসবে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ চলছিল। সমাবেশ চলাকালে এক পর্যায়ে দলটির নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এর ফলে মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। পরে রোববার (২৯ অক্টোবর) সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে দলটি। হরতাল শেষে একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিনদিন অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়। যা শেষ হয় গত ২ নভেম্বর। এরপর আবার দুইদিন বিরতি দিয়ে রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হয়।