ঘূর্ণিঝড় হামুন তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ লাইন চালু করার নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে অসাধু চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা, দালাল চক্র থেকে সতর্ক থাকতে প্রচারণা চালাচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষ। ঘূর্ণিঝড় হামুন তাণ্ডবে পুরো বাঁশখালীতে লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ লাইন, ভেঙে ও হেলে পড়েছে কয়েক শতাধিক খুঁটি, ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে বিদ্যুৎ তার। এতে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে টানা ৮/৯ দিন যাবৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে খাদ্য পানির তীব্র সংকটে পড়েছে উপকূলের কয়েক লক্ষাধিক মানুষ। মোবাইল নেটওয়ার্কও স্বাভাবিক হচ্ছে না এখনো। তড়িঘড়ি করে বিদ্যুৎ লাইন চালু করতে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বিভিন্ন শ্রমিকদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে গ্রাহকরা। গ্রাহকদের আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বিদ্যুৎ লাইন দ্রুত চালু করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে শ্রমিকরা।
এরই মধ্যে কালীপুরের বেশ কিছু গ্রাহকের কাছ থেকে মিটার প্রতি ১শ-২শ টাকা করে অন্তত ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মর্মেও অভিযোগ উঠেছে। ওই এলাকায় এক সাংবাদিক পরিবারের কাছ থেকেও ১৫ শ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে গুনাগরী সাব স্টেশনের শ্রমিকরা। এছাড়াও বাঁশখালীর প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন ভোক্তাদের কাছ থেকে এভাবে আদায় করছে হাজার হাজার টাকা। টাকার দেয়ার পর বেশ কিছু লাইন সংস্কার করে মিটার সংযোগও দিয়েছে তারা। এতে সহজে বিদ্যুৎ পাওয়ার জন্যে ওই শ্রমিকদের দ্বারস্থ হচ্ছে ভুক্তভোগীরা। এবিষয়ে পুরো বাঁশখালী জুড়ে চলছে নানান আলোচনা- সমালোচনা।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, টাকা দিলেই মিলছে ক্ষতিগ্রস্থ মিটার সংযোগ। তবে বিষয়টি জানতে পেরে ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ লাইন সম্পূর্ণ রূপে সরকারি খরচে সংযোগ ও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে এবং ক্ষতিগ্রস্থ মিটারও সরকারি খরচে প্রদান করা হবে মর্মে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের দালাল চক্র থেকে সতর্ক থাকার জন্যে সচেতনতা মূলক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষ।
বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুৎ ডিজিএম রীশু কুমার ঘোষ বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ বিদ্যুৎ মিটার ও সংযোগ সম্পূর্ণ রূপে সরকারি খরচে লাইন সংস্কার ও বিনামূল্যে ক্ষতিগ্রস্থ মিটার প্রদান করার বিষয়টি আমরা বার বার জনসচেতনতা জন্যে মাইকিং ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে যাচ্ছি এবং অসাধু দালাল চক্র থেকে সতর্ক থাকার জন্যে বলে যাচ্ছি। কিন্তু এর পরেও গ্রাহকরা কেন অসাধু চক্রের হাতে প্রতারিত হচ্ছে এবং তাদের দ্বারস্থ হচ্ছে সেটা জানিনা। ওইসব অসাধু চক্রকে শনাক্ত করে কেউ অভিযোগ করলে সাথে সাথেই ওই দালাল চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ডিজিএম।