ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত ১৮ দিনে গড়িয়েছে। প্রতিদিন গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় শত শত ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাচ্ছেন। এরই মধ্যে জানা গেল, ইসরায়েলের দিকে দেড় লাখ রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র তাক করে রেখেছে হিজবুল্লাহ।
সংঘাত শুরু হওয়ার প্রথম থেকেই হামাসের পক্ষে নিজেদের অবস্থান দৃঢ়ভাবে জানান দেয় ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। তাদের হামলায় ইসরায়েলে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানিও ঘটেছে। এর মধ্যে মার্কিন এক সৈন্যও রয়েছেন।
এদিকে হামাসকে একেবারে গুঁড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে গাজা উপত্যকায় স্থল হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। কিন্তু ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের প্রতিবেশি লেবানন থেকে হিজবুল্লাহ সতর্ক করে দিয়ে বলছে, গাজায় অবিলম্বে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ এবং স্থল হামলার পরিকল্পনা বাতিল না করা হলে ইসরায়েলে নজিরবিহীন আক্রমণ চালাবে তারা। ইসরায়েলের দিকে দেড় লাখ রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র তাক করে রাখা হয়েছে বলে সতর্ক করেছে হিজবুল্লাহ।
হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের জন্য কী ধরনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে সে বিষয়ে বিশ্লেষণী এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তেল আবিবের দৈনিক হারেৎজ।
এতে বলা হয়েছে, ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস ইসরায়েলের তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাককে পাশে নিয়ে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি বলেন, আমরা বর্তমানে এমন এক পর্যায়ে আছি, যেখানে হিজবুল্লাহর কাছে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের চেয়েও অনেক বেশি রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এরপর থেকে হিজবুল্লাহ আরও শক্তিশালী হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ধারণা, হামাসের সাথে যুদ্ধ শুরুর প্রথম কয়েক দিনে ইসরায়েলে কয়েক হাজার রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহ। প্রতিদিন দেড় হাজার করে রকেট ছোড়ার সক্ষমতা রয়েছে এই গোষ্ঠীর।
অন্যদিকে ইসরায়েলের আলমা রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন সেন্টারের অনুমান, হিজবুল্লাহর কাছে বিভিন্ন ধরনের প্রায় ২ হাজার ড্রোন রয়েছে। এর মধ্যে বেসামরিক ড্রোনও আছে; যা অস্ত্র পরিবহন করতে সক্ষম।