সেলিম রেজা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: ১৮ অক্টোবর (বুধবার’) রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ রাসেল-এর ৬০তম জন্মদিন যথাযথ মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে। রাত ৮.০০টায় ‘শেখ রাসেল: চিরঞ্জীব প্রাণের প্রেরণা’ শীর্ষক এক বিশেষ ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। আলোচনার শুরুতে উপাচার্য মহোদয় ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট হায়েনাদের হাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, শিশু শেখ রাসেলসহ সকল শহিদদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, শেখ রাসেল ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিবারে সকল সুখের মধ্যমণি, আনন্দ, উচ্ছলতা ও প্রাণচঞ্চলতা সবকিছু তাকে ঘিরেই রচিত হয়েছিল। একজন শিশু সন্তানকে হায়েনারা নির্মমভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে- এটি অত্যন্ত নির্মম ও হৃদয়বিদারক একটি ঘটনা। যারা বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে এবং বাংলাদেশকে অকার্যকর ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল এবং বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র করেছিল তারা যে কতটা হিংস্র হতে পারে সেটি আমরা শেখ রাসেলকে হত্যার মধ্যে দিয়ে বুঝতে পারি। রবি উপাচার্য জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব, উন্নয়ন, সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও মানবিক গুণাবলির কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, শিশু শেখ রাসেলের মধ্যে যে মানবিক গুণাবলি, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণ ছিল, যদি তিনি বেঁচে থাকতেন তাহলে নিঃসন্দেহে তিনি বঙ্গবন্ধুর মত একজন হয়ে উঠতেন। শেখ রাসেল-এর মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর অনেক গুণাবলিই লক্ষণীয়। শিশু শেখ রাসেলকে হত্যা করে খুনিরা বাঙালিকে একজন প্রকৃত নেতার নেতৃত্ব থেকে বঞ্চিত করেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবী করে উপাচার্য বলেন যারা দেশের বাহিরে পালিয়ে আছে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা হোক এবং যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের মরণোত্তর বিচার করা হোক। তিনি বলেন, যদি মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়া যায়, তাহলে মরণোত্তর বিচারও করা সম্ভব। ১৫ই আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পিছনে যারা আছেন তাদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানান প্রফেসর শাহ্ আজম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও শেখ রাসেলসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার সকল শহিদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
উল্লেখ্য, দিনের শুরুতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শেখ রাসেল-এর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ ফখরুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার জনাব মোঃ সোহরাব আলী। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনোত্তর সভায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. ফখরুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল শিশু রাসেল বড় হয়ে একজন মানবতাবাদী মানুষ হবে, তাইতো মানবতাবাদী দার্শনিক ব্রাটান্ড রাসেলের নামে নাম রেখেছিলেন রাসেলের। জীবের প্রতি প্রেম, আর্তের প্রতি সহমর্মিতার মতো গুণ সেই শৈশবেই রাসেলের মধ্যে আমরা দেখতে পেয়েছি। অনুষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।