অধিকৃত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৩ বন্দি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে হামাস।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
হামাসের সামরিক শাখা বলেছে, গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় বিদেশিসহ এসব বন্দি নিহত হয়েছেন।
ইজজেদিন আল-কাসাম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় ছোড়া বোমার আঘাতে বিদেশিসহ ১৩ বন্দি নিহত হয়েছেন। ভিন্ন ভিন্ন পাঁচ স্থানে বিমান হামলায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজা শহর থেকে সব বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ইসরায়েল। তবে, বাসিন্দারা বাড়ি-ঘর ছেড়ে যেতে অস্বীকৃতি জানান।
এ বিষয়ে হামাস জানায়, তারা শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও লড়াই চালিয়ে যাবে। হামাসের রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ব্যুরোর প্রধান বাসেম নাইম বলেন, আমাদের কাছে দুটি বিকল্প আছে। হয় এই দখলদারিত্বকে পরাস্ত করব, নতুবা বাড়িতেই প্রাণ দেব। আমরা গাজা ছেড়ে কোথাও যাচ্ছি না।
পরে ওই দিন অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। পদাতিক বাহিনী ও ট্যাঙ্ক গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে বলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। এই হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৩০০ জন। এ ঘটনায় ইসরায়েলের ১৫০ জন নাগরিককে বন্দি করেছে হামাস। তাদের গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর জবাবে গাজার শাসক গোষ্ঠীটিকে ‘মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার’ প্রতিজ্ঞা করে পাল্টা অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।
চলমান সংঘাতে ছয় দিনে গাজায় ছয় হাজার বোমা নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় ইতোমধ্যে গাজায় এক হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫০০ শিশু ও ২৭৬ জন নারী রয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৬ হাজার ৬১২ জন।