ষষ্ঠ দিনে গড়াল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাত। ইতোমধ্যে এই সংঘাতে দুই পক্ষের ২ হাজার ৬০০ বেশির মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় আল জাজিরা।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৩৫৪ জনে পৌঁছেছে। আর আহত হয়েছেন ৬ হাজার ৪৯ জন।
অন্যদিকে হামাসের হামলায় অন্তত ১ হাজার ৩০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শত শত মানুষ।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেন, পুরো যুদ্ধের যেকোনো দৃশ্যপটের ব্যাপারে উচ্চ পর্যায়ের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। চলমান যুদ্ধে ১৮৬ ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া হামাস ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ৬০ সৈন্যকে জিম্মি করেছে।
এদিকে হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে গাজা সীমান্তের কাছে তিন লাখ সেনা জড়ো করেছে ইসরায়েল। সেখানে সেনা ছাড়াও অসংখ্য ট্যাংক, কামান ও সামরিক বুলডোজার জড়ো করেছে ইসরায়েল। ধারণা করা হচ্ছে, তারা যেকোনো সময় গাজার ভেতর ঢুকে হামলা শুরু করতে পারে।
তবে এতে হামাস শঙ্কিত নয় বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতা গাজী হামাদ।
তিনি বলেন, আমরা ভয় পাই না। আমরা শক্তিশালী মানুষ। এই অভিযান অব্যাহত রাখতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমাদের অনেক যোদ্ধা এবং সমর্থক আছেন; যারা আমাদের সহায়তা করতে চান। এমনকি জর্ডান সীমান্ত, লেবানন এবং সব জায়গার মানুষ এখানে আসতে চায় এবং আমাদের জন্য লড়াই করতে চায়।
এর আগে, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।ইসরায়েলও পাল্টা আক্রমণ করে। এরপর থেকে দুই পক্ষের সংঘাত চলছেই।