চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার সিরিজের একটি টেস্ট হওয়ার কথা ছিল ধর্মশালায়। কিন্তু সেই টেস্ট ম্যাচটি ইন্দোরে সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়। মূলত আউটফিল্ডে ঘাসের ঘনত্ব কম হওয়ার কারণে ম্যাচটি সরিয়ে নেওয়া হয়।
এদিকে আইসিসির ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরে ধর্মশালায় পাঁচটি ম্যাচ হবে। এরমধ্যে শনিবার (৭ অক্টোবর) হিমাচলের মাঠটিতে হয়েছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে মাঠের আউটফিল্ড নিয়ে।
অন্যদিকে একই ভেন্যুতে আগামী ১০ অক্টোবর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়বে টাইগাররা। এর আগেই ধর্মশালার আউটফিল্ড নিয়ে ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা মেতেছেন তুমুল সমালোচনায়। অনেকেই ইনজুরিতে পড়ার বেশ শঙ্কার কথাও বলছেন। আর এ নিয়ে স্বভাবতই দুশ্চিন্তায় বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট।
আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ম্যাচের দিনে মাঠের বিভিন্ন প্রান্তে উড়ছিল ধুলো। রান-আপ নিতে গিয়ে পা ভারি হয়ে যাচ্ছিল বোলারদের। এমনকি ফিল্ডারদের ডাইভেও প্রচুর ধুলো উড়তে দেখা গেছে। এ ছাড়া মাঠের কোথাও ঘাসের পরিমাণ বেশি, আবারও কোথাও এতই কম যে দূর থেকেই মাটি দেখা যাচ্ছিল।
ম্যাচ চলাকালীন ধারাভাষ্য বক্সেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। আউটফিল্ড ইস্যু নিয়ে মজাও করেন ধারাভাষ্যকাররা। এই সময়ে ড্রোন শটে পার্শ্ববর্তী একটি স্কুল মাঠ দেখানো হচ্ছিল। তখন মজা করে ম্যাথু হেইডেন বলে ওঠেন, এই দুই মাঠের আউটফিল্ডই কাছাকাছি মানের। আউটফিল্ড ইস্যুতে সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক নাসের হুসেইনও হাসাহাসি করেন।
ম্যাচ শেষে দুই দলের প্রতিনিধির কাছেই ছুড়ে গিয়েছিল আউটফিল্ড নিয়ে প্রশ্ন। তবে বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান বাংলাদেশের মেহেদী হাসান মিরাজ। তার মন্তব্য, আসলে খেলতে নামলে অজুহাত দেওয়ার কিছু নেই।
তবে আফগান কোচ জনাথন ট্রটের মন্তব্য, ডাইভ দিলে সমস্যা হতে পারে এমন থাকলে খেলোয়াড়রা অনিশ্চয়তায় থাকবে। অথচ সারা দুনিয়ায় এখন খেলোয়াড়দের ফিল্ডিং উন্নত করতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। আমরা ভাগ্যবান যে মুজিবের হাঁটুতে গুরুতর কিছু হয়নি।
ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের এলাকা হওয়ার কারণেই নাকি বিশ্বকাপে এবার বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে এই ভেন্যুটি।
উল্লেখ্য, ধর্মশালায় আগামী ১৭ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকা-নেদারল্যান্ডস, ২২ অক্টোবর ভারত-নিউজিল্যান্ড এবং ২৮ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ রয়েছে।