রেলওয়ের শহর সৈয়দপুরের রেলওয়ে হাসপাতালে চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের। মাত্র একজন নৈশ প্রহরী দিয়ে বিশাল হাসপাতাল চত্বর দেখভাল করা দূরুহ হয়ে পড়ায় এবং দ্রুত নতুন জনবল নিয়োগ দেয়া অসম্ভব হওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। একারণে রাতে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের অবস্থানের জন্য হাসপাতালের ভিতরে বাবুর্চিখানা সংলগ্ন অস্থায়ী ভিত্তিতে ছাউনি তৈরি করা হচ্ছে।
জানা যায়, গত একসপ্তাহে হাসপাতালে বেশ কয়েক বার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মসজিদের দানবাক্স ভেঙে টাকা চুরির ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। জনবল ও রোগী শুণ্য হাসপাতালটি রাতের বেলা একেবারে শুনশান হয়ে পড়ে। মূল ভবনসহ পুরো চত্বরে ভূতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করে। এমতাবস্থায় মাত্র একজন নৈশ প্রহরী বিশাল এলাকায় ঠিকমত নজরদারি করতে পারেনা। পর্যাপ্ত পাহারার অভাবের সুযোগে চোরেরা প্রায়ই হানা দেয়।
এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা জোরদার করতে বিকল্প ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সেই আলোকে হাসপাতালে কর্মরত পুরুষ পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের রাতে নৈশ প্রহরীকে সহযোগিতার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু চলমান বৃষ্টিতে সমস্যা দেখা দেয়ায় তাদের নিরাপদ অবস্থানের জন্য টিনের চালা দিয়ে একটি ছাউনি তৈরি করা হচ্ছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্বে থাকা বিভাগীয় চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আনিসুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এতবড় হাসপাতাল চত্বর পাহারায় মাত্র একজন নৈশ প্রহরী কর্মরত। নতুন করে জনবল নিয়োগ দেয়া না হলে এই শূন্যতা পূরণ সম্ভব নয়। আবার সহসা নিয়োগ দেয়ায় যাবে না। এমতাবস্থায় সাময়িক ব্যবস্থা স্বরূপ পরিছন্নতা কর্মীদের কাজে লাগানো হয়েছে।