ডিএমপির আরও একটি সফল অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন “আনসার আল ইসলাম” নায়েব আমির ও সহযোগীসহ ৫ জন গ্রেফতার এবং ২ টি বিদেশী পিস্তল ও ১৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগে স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ একটি টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে “আনসার আল ইসলাম’র” নায়েবে আমির ও সহযোগীসহ ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। ৭ই অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকাধীন কাজলা এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের নাম- ইহছানূর রহমান ওরফে মুরাদ ওরফে সাইফ (২৬), মোঃ সাখাওয়াতুল কবির ওরফে আনিস ওরফে রফিক (৪৫), বখতিয়ার রহমান ওরফে নাজমুল (৩০), ইউসুফ আলী সরকার (৩১), জাহেদুল ইসলাম ওরফে আশ্রাফ (৩৫)।
গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত হতে ২টি দেশীয় পিস্তল ও ১৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, জঙ্গিবাদ নির্মূল করার লক্ষ্যে সিটিটিসি, ডিএমপি, ঢাকার ধারাবাহিক গোয়েন্দা ও তথ্য প্রযুক্তির কার্যক্রমের মাধ্যমে তথ্য পাওয়া যায় যে, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন আনসার আল ইসলামের সাংগঠনিক এবং অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অত্যন্ত গোপনীয়তার মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে মিটিং করে আসছে। অদ্য ০৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ সিটিটিসি’র স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ একটি টিমে তথ্য প্রযুক্তি ব্যাবহারের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, সন্ধ্যার পর যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলা এলাকায় সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের কতিপয় সদস্য একত্রিত হবে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন “ইসলাম আল আনসার” এর সদস্য। তারা ঢাকায় বিভিন্ন জায়গা নাশকতা সংঘটনের উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়েছিল বলে জানায়।
তারা আরও জানায় সম্প্রতি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে অত্যন্ত গোপনীয়তায় মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আসামীদের দখল হতে উদ্ধারকৃত অস্ত্র-গুলি সম্পর্কে বৈধ কোন কাগজপত্র নেই। তাদের ঢাকায় আস্তানাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা কৌশলে প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যায়।
উল্লিখিত গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত “আনসার আল ইসলাম” এর সদস্য এবং অবৈধভাবে অস্ত্র-গুলি নিজ দখলে রেখে, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংঘটনের ষড়যন্ত্র করে, মোবাইলের মাধ্যমে গোপনীয় অ্যাপস ব্যবহার করে সংগঠনের তথ্য আদান-প্রদান করে আসছিলো।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ১টি মামলা রুজু হয়েছে।গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।