ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের রকেট হামলায় অন্তত ২২ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫৪৫ জন। ইসরায়েলের সরকারি দপ্তর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অপারেশন ‘আল আকসা ফ্লাড’ নামে একটি অভিযান শুরু করে হামাস।
সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি সেনাদের বেড়ে চলা হামলা ও হত্যাযজ্ঞের জবাব দিতে তারা এই হামলা চালায় বলে জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে হামাস নেতা মোহাম্মেদ দেইফ বলেন, আমরা শনিবার ইসরাইলের উদ্দেশ্যে পাঁচ হাজার রকেট ছুড়েছি। এর মধ্য দিয়ে আমরা অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড শুরু করে দিয়েছি।
দেইফ বলেন, যথেষ্ট হয়েছে। ইসরায়েলকে আমরা উপযুক্ত জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দেশপ্রেমিক সব ফিলিস্তিনিকে এই যুদ্ধে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি।
হামাসের রকেট হামলার পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এতে তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের জনগণ, আমরা যুদ্ধের মধ্যে রয়েছি। এতে আমরা জিতব।’
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় শত্রুদের এমন মূল্য দিতে হবে যে সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টও বলেছেন, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছে। সেনারা সব জায়গায় শক্রর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
এদিকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহী গোষ্ঠী হামাসের হামলার জবাবে এবার গাজা উপত্যকায় ‘যুদ্ধ পরিস্থিতি’ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল।
দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, সকাল সাড়ে ৬টা থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে ২২০০ রকেট ছুড়েছে হামাস। এ ছাড়াও স্থল, আকাশ ও নৌপথে হামাসের সদস্যরা ইসরায়েলে প্রবেশ করছেন।
ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে এ পর্যন্ত ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের পাল্টাপাল্টি হামলায় কমপক্ষে ২৪৭ জন ফিলিস্তিনি, ৩২ জন ইসরায়েলি এবং ২ জন বিদেশি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেসামরিক নাগরিকও আছেন।