যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে যৌথভাবে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রাক নির্বাচনী এ সমীক্ষা মিশন পরিচালনা করবে ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই)।
সফরকালে পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন, নাগরিক পর্যবেক্ষক, নাগরিক সংগঠন এবং নারী ও তরুণদের সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাদের।
এর বাইরেও বাংলাদেশের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশে কাজ করা বিদেশি দূতাবাস ও হাইকমিশনগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা বলবেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
এ প্রতিনিধিদলে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) তিনজন ও ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) দুই থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ থাকবেন। এ দলটি আসার বিষয়ে গত ২৫ জুলাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানায় ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে জাতিসংঘে দায়িত্ব পালন করছেন এমন ব্যক্তিও রয়েছেন দলে। আছেন মালয়েশিয়ার সাবেক একজন সংসদ সদস্যও।
এর আগে গত ১ আগস্ট নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে অভিজ্ঞতা রয়েছে—এমন জাতীয় পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র।
সফর শেষ হলে প্রতিনিধি দলটি একটি বিবৃতিও দেবে। নির্বাচন আয়োজন বিষয়ে তাদের যদি কোনো উদ্বেগ থাকে তা জানাবে এবং বাস্তব সম্মত সুপারিশ থাকলে তাও উল্লেখ করবে।
এ প্রতিনিধিদলের প্রতিবেদনের ওপর আগামী নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি না, তা অনেকটাই নির্ভর করছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।