রুপালি পর্দায় ১৯৯৩ সালে পা রেখেই খলনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা সুমিত গাঙ্গুলি। প্রসেনজিৎ, অভিজিৎ চ্যাটার্জির অনেক সিনেমায় সুমিতের ভয়ংকর উপস্থিতি এখনও মনে রেখেছেন দর্শকরা।
তবে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনেক পরিবর্তন এসেছে ভারতীয় বাংলা সিনেমায়। যুক্ত হয়েছেন নতুন নতুন পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীরা।
দীর্ঘ চল্লিশ বছরের ক্যারিয়ারে একচেটিয়া খল চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুমিত। কিন্তু নতুনদের ভিড়ে এখন আর দেখা যায় না তাকে। তবে কোথায় হারালেন এই অভিনেতা? সেই প্রশ্ন রহস্যের দানা বেঁধেছে তার অনুরাগীদের মাঝে। কেনই বা আর তাকে পর্দায় দেখা যায় না। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন এই অভিনেতা।
ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকার চলচ্চিত্রে না থাকার কারণ জানতে চাইলে নতুন পরিচালকদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সুমিত। তিনি জানান, বর্তমান সময়ের পরিচালকরা আঁতেল।
এ প্রসঙ্গে সুমিত বলেন, দর্শক আমাকে দেখতে পারছেন না তার কারণ একটাই, আমি যে পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করতাম তারা এখন হারিয়ে গেছেন। এখনকার যে সব ছেলে-মেয়েরা পরিচালনায় এসেছেন তারা সব আঁতেল! তারা সিনেমা বোঝেই না। অদ্ভুত সব বিষয় সিনেমায় নিয়ে আসছে। একটা হাত নেই, একটা পা নেই। অদ্ভুত সব হিরো। বস্তিতে থাকে, একটা চূড়ান্ত গরিব হিরো। তাকে গিয়ে আমি মারব? এসব পাবলিক দেখবে?
নতুন নির্মাতাদের উদ্দেশে সুমিত গাঙ্গুলি বলেন, এরা মানুষের আবেগ বোঝে না। মানুষ কি পছন্দ করে তা জানে না। মারধর করা সিনেমা না হলে, আমায় দেখা যাবে কীভাবে? সম্ভবই না। আর এখন যারা পরিচালক, তারা আমায় চেনেই না। তারা কোনো দিন বাংলা সিনেমা দেখেইনি। তাহলে আমার কাজের সুযোগ আসবে কোথা থেকে?