রাজশাহী জেলার বাঘায় অপহরণের ৭৪ দিন পর স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী ইমাকে উদ্ধার করেছে বাঘা থানা পুলিশ। সোমবার (২৪সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টায় দিকে বাঘা উপজেলার চন্ডিপুর এলাকার থেকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত ইমা ২২ ধারায় জবানবন্দীর প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয় অপহৃত কিশোরীর বাবা বজলুল করিম অভিযুক্ত সকল আসামীদের বিচার দাবী করছেন।
পুলিশ ও অপহৃত কিশোরীরর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বাঘা উপজেলার কাদিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী।গত (১০ জুলাই) সোমবার কাদিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনির ছাত্রী মোসাঃ রুকাইয়া খাতুন ইমা প্রতিদিনের ন্যায় স্কুলের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে স্কুলে যায়। স্কুল থেকে আর ফিরে আসে নাই। ছুটির পর বাসায় না ফেরায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করে তিনি নিশ্চিত করেন যে সে ঐ দিন স্কুলে উপস্থিত হয়নি।পরবর্তীতে,বিভিন্ন জায়গায় আত্বীয়-স্বজন বাড়ীতে খোঁজে করতে থাকলেও কোথাও তাকে খুজে পাওয়া যায়নি।
এলাকার লোক মারফৎ জানতে পারে দিয়াড় কাদিরপুর গ্রামের নাজিম আলীর বখাটে ছেলে সোহেলসহ ৪-৫ জন মিলে মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
বিষয়টি থানায় অবগত করিলে আশানুরূপ কোন ফলাফল পাইনি। পরবর্তীতে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল নং-২ একটি মামলা দায়ের করেছি। সি. আর. মামলা নং-১৬৪পি/২০২৩ (বাঘা), ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০০৩) এর ৭/৩০ ধারা মামলা করেন।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এস আই কামরজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্সসহ বাঘা উপজেলার চন্ডিপুর এলাকার থেকে অপহৃতকে উদ্ধার করে সনাক্তের জন্য বাবা মাকে খবর দেয়।
এ প্রসঙ্গে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধারের পর তার বাবা-মা মেয়েকে শনাক্ত করেছেন। এখন ২২ ধারায় জবানবন্দীর প্রস্তুতি চলছে। এরপর বয়স শনাক্তসহ মেডিকেল পরীক্ষার করার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।।
তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত কয়েকজন জামিনে রয়েছেন। এরপরেও অপহরণের সাথে জড়িত প্রধান আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।