পাইকগাছার কপিলমুনিতে “কপিলমুনি(বিনোদগঞ্জ ) ব্যবসায়ী সমিতির সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে । মঙ্গলবার সকাল ১১টায় আম গাছের ডাল কর্তনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কপিলমুনির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিপ্লব সাধুর বিরুদ্ধে কপিলমুনি প্রেসক্লাবে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন ও পাইকগাছা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিথ্যা সি আর মামলা সহ বিভিন্ন যায়গায় মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন । স্থানী ধান্য চত্বরে কপিলমুনি(বিনোদগঞ্জ ) ব্যবসায়ী সমিতির আয়োজনে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কপিলমুনি ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে কোষাধ্যক্ষ তাপস কুমার সাধু বলেন, মূলত নাছিরপুর মৌজায় বিপ্লব সাধু,তার মা লতিকা সাধু, ও বড় ভাই বাবুল সাধুর নামে গত ইং ০৪/০৯/১৯ তারিখে নাছিরপুর মৌজায় .৪৮ একর জমি খরিদ করেন । যার দলিল নং ২৩৯৪/১৯।
সেখানে সাধু স্টীল কর্পোরেশন’র নামে প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। তার প্রকল্পভূক্ত খরিদা জমির সীমানায় আগে থেকেই স্থানীয় বিধান বিশ্বাসদের খরিদা সম্পত্তির সাথে অতিরিক্ত ০.০০১ একর জমি জবরদখল করে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি উভয় পক্ষের জমির আইল সীমানা নির্দ্ধারনে স্থানীয় আমিনদ্বারা মাপ-জোখ করে বিপ্লব সাধুর খরিদা .৪৮ একর জমির স্থলে .৪৭ একর জমি অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এমন অবস্থায় যার যার জমি বুঝে দিতে উভয় মালিকদের সমন্বয়ে আমিনদের সম্পৃক্ততায় একটি রইদাদনামা সম্পন্ন হয়। যেখানে সংশ্লিষ্ট মালিকদের সকলের স্বাক্ষর দেওয়া হয়। সে মতে বিপ্লবের খরিদা .০০১ একর জমিতে লাগানো বিধানের কয়েকটি আম গাছের চারা কেটে নেওয়ার কথা বললে তিনি বিভিন্ন সময় নানা টালবাহানা করতে থাকেন।
একপর্যায়ে বিধান বিশ্বাস , নির্মাণ বিপনীর স্বত্ত্বাধিকারী বিপ্লব সাধুকে ঐ গাছের ডাল কেটে দিতে বলে । সেই মোতাবেক তার প্রকল্প সীমানার মধ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী একটি গাছের কয়েকটা ডাল নিজ শ্রমিক দিয়ে কর্তন করেন। আর এ নিয়েই ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছেন মহল বিশেষ। আর তুচ্ছ ঘটনাকে পুঁজি করে অতিরিক্ত জমি দখলের বিষয়টিকে আঁড়াল করতে একের পর এক মিথ্যাচার করা হচ্ছে বিপ্লবকে নিয়ে। এমনটাই দাবি করেন কপিলমুনি(বিনোদগঞ্জ ) ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ । লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, বিধান বিশ্বাস,০,০১ একর জমি জবরদখল রাখতে এবং বিপ্লব সাধুকে হয়রানি করতে গত ২১শে সেপ্টম্বর রাতে নিজে ঐ আম গাছের আরও কিছু ডাল কর্তন করে তার উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছে । তিনি বলেন, কপিলমুনি (বিনোদগঞ্জ ) ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি । পাশাপাশি অদ্যকার সংবাদ সমাধ্যমে সকল ষড়যন্ত্র রুখতে প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর এবং সংবাদকৰ্মীদের প্রতি প্রকূত ঘটনা উন্মোচন ও তদন্তমূলক প্রতিবেদন প্রকাশের প্রত্যাশা করছি ।
উক্ত সাংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পাইকগাছা উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও কপিলমুনি বাজারের বিশিষ্ট বাগদা পোনা ব্যবসায়ী আনন্দ মোহন বিশ্বাস, কপিলমুনি পুলিশিং কমিটির সভাপতি ও চাউল ব্যবসায়ী সাধন কুমার ভদ্র, ব্যবসায়ী নির্মল কুমার মজুমদার, ব্যবসায়ী জি এম হেদায়েত আলী টুকু, বাগদা পোনা ব্যবসায়ী শেখ আনারুল ইসলাম, কপিলমুনি বণিক সমিতির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাক রাজু, কপিলমুনি ইউনিয়ন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিধান চন্দ্র ভদ্র, ব্যবসায়ী আলহাজ্ব শেখ রফিকুল ইসলাম, কপিলমুনি বাজারের বিশিষ্ট স্বর্ণ ব্যবসায়ী জগদীশ দে, অজিয়ার রহমান, সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী রাম প্রসাদ পাল, অলোক মজুমদার, তাপস সাধু, পবিত্র সাধু, কৃষেন্দু দত্ত, বিশ্বজিত সাধু ও সুজিত সাধু। সভাপতি বিধান চন্দ্র ভদ্র, ব্যবসায়ী আলহাজ্ব শেখ রফিকুল ইসলাম, কপিলমুনি বাজারের বিশিষ্ট স্বর্ণ ব্যবসায়ী জগদীশ দে, অজিয়ার রহমান, সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী রাম প্রসাদ পাল, অলোক মজুমদার, তাপস সাধু, পবিত্র সাধু, কৃষেন্দু দত্ত, বিশ্বজিত সাধু ও সুজিত সাধু প্রমুখ।
এ জাতীয় আরো খবর ....