ভি জে জয়, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
চুরির মামলায় আওয়ামীলীগ নেতাদের অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করায় সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার ওসি খায়রুল বাশারকে প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বড়ধুল ইউনিয়নের মেহেরনগর গ্রামে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে এলাকার নারী পুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেয়। মানববন্ধন চলাকালে বড়ধুল ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক জিন্নাহ মোল্লা, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সোহেল মোল্লা, ২নং ওয়ার্ড
আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মোল্লা, সহ-সভাপতি ঠান্ডু মিয়া ও আওয়ামীলীগ নেতা আবু সামা মোল্লা বক্তব্য রাখেন।
এসময় বক্তরা বলেন, গত ১৯ জুন যমুনা চরের মেহেরনগরে গরু চুরির সময় ফরিদুল ইসলাম ও ফারুক শেখ নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দেয় এলাকাবাসি। পরে পুলিশ থানায় নিয়ে দেনদরবার শেষে বিশেষ সুবিধা গ্রহন করে তাদের ছেড়ে দেয়।
এই ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে মেহেরনগর গ্রামের রুপচাঁন মোল্লার দায়ের করা অপর একটি চুরির মামলায় বড়ধুল ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক জিন্নাহ মোল্লা, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সোহেল মোল্লাসহ ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে গত ২৭ আগষ্ট আদালতে অভিযোগ পত্র দায়ের করে থানা পুলিশ।
এই মামলাটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মুলক বলে বক্তরা অভিযোগ করেন। এরই প্রতিবাদে বেলকুচি থানার ওসি খায়রুল বাশারকে প্রত্যাহার ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
তবে এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাশার জানান, গরু চুরি সন্দেহে এলাকাবাসী দুই যুবককে আটক করে পুলিশে দেয়। পরে তদন্ত করে দেখা যায় চুরির সাথে তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এজন্য তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আর আওয়ামীলীগ নেতা জিন্নাহ মোল্লার সাথে তার চাচাতো ভাইদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তদন্তে এই ঘটনার সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। যে কারনে অভিযোগ পত্রে তাদের নাম এসেছে।