গত ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ দৈনিক যুগান্তর অনলাইন সংস্করণ “নবাবগঞ্জে দলিল লিখক রাশেদের বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ ” শিরোনামে প্রচারিত ও প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালী নিবাসী মোঃ রাশেদ খান। তিনি বলেন-মিথ্যা,বানোয়াট, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও কাল্পনিক সংবাদ টি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে।প্রতিবেদনে আমাকে কথিত দলিল লিখক বলে উল্লেখ করা হয়েছে অথচো আমার দলিল লিখার লাইসেন্স নং-১০৬।আমার পিতার ক্রয়কৃত ভোগদখলীয় জমিকে অন্যের জমি বলে উল্লেখ করা হলেও,দাগ খতিয়ান বা জমির মালিকানার কোন বর্ণনা দেওয়া হয়নি বা আমার নিকট রক্ষিত কোন দলিল যাচাই করা হয় নি। জাল দলিল তৈরীর মত গুরুতর অভিযোগ আনা হলেও দলিল দাতা বা গ্রহিতা বা জাল দলিল সম্পর্কে ও কিছু বলা হয়নি।বর্তমান বাজার মূল্যের চেয়ে কম দাম দেখানোর অভিযোগ টি সস্পূর্ণ মিথ্যা যা সরকারি ভলিউম যাচাই করলে সত্যতা মিলবে।প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ গুলো উদ্দেশ্য প্রনোদিত মিথ্যা।মূলত উপজেলার কাঞ্চননগর এলাকার মৃত মধুসুধন মন্ডল সরকার নিজ হতে বিগত ৭/০২/১৯৭০ তারিখ ১৬৯৬ নং দলিল মূলে বারুয়াখালী গ্রামের মোহাম্মদ ইউনুস খান ও কুমার বাড়ীল্লা র মোঃ হাফিজ উদ্দিন ক্রয় সুত্রে মালিকানা অর্জন করেন।মোঃ হাফিজ উদ্দিনের মৃত্যুর পর তদ্বীয় সন্তান মোঃ বাদশা মিয়া ও কন্যা হুসনে আক্তার মালিক হন।বিগত ১/০৬/২০১০ তারিখ ৩৩১৪ নং আম মোক্তার নামা দলিলমুলে স্বপন হালদার কে জমির মালিক নিযুক্ত করেন।বিগত ২৯/৫/১৩ তারিখ আমার প্রয়াত পিতা মোঃ সুলতান খান এর নিকট ৩৯৫২ নং দলিল মূলে মূল মালিক মোঃ বাদশা মিয়া,হুসনে আক্তার ও আম মোক্তার স্বপন হালদার বিক্রয় করেন।মধুসূদনের বিক্রি করা ১২ শতক সম্পত্তি তার ছেলে গোপাল সরকার নকল কাগজ তৈরি করে জোরপূর্বক দখল করার অভিযোগ এনে ২০১৪ সালে ঢাকার আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন যার নং ১৫৬।মামলাটি চলমান।সরকারি বিধি মোতাবেক জমি ক্রয়ের জন্য দলিল রেজিস্ট্রি ফিস বাবদ নগদ টাকা দেওয়ার পরও জমি ক্রেতার দলিলে জমির প্রকৃত মূল্যে ও বর্তমান বাজার মূল্য গোপন করে কম দাম দেখিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করে সবাইকে দলিলের ফটোকপি দেওয়ার বিষয় টি ও চরম হাস্যকর।কারন দলিল পরে পেলেও তাৎক্ষণিক তাদের অর্থ লেনদেনের রশিদ সরবরাহ করা হয়।আমার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়ার কারন জমি সংক্রান্ত বিরোধের ধরুন আমি আমার ও পরিবার কে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ায় তখন হতে এখন অবধি পালিয়ে বাঁচতে হচ্ছে।প্রতিবেদক যোগাযোগ করা কালীল প্রাণভয়ে পরিবার সহ মানিকগঞ্জে লুকিয়ে ছিলাম। জুয়া খেলা ও মাদক বিক্রি বা সেবনের কোন তথ্য স্হানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট নাই। ফেসবুকে সরকারবিরোধী অপপ্রচার চরম মিথ্যাচার যা আমার ফেসবুক যাচাই করলেই পরিস্কার হবে কারন আমি বারুয়াখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি।নবাবগঞ্জ থানায় অসংখ্য অভিযোগ ও জিডির তথ্য উদ্ভট বানোয়াট ও মিথ্যাচার বটে।অতএব দৈনিক যুগান্তরের মত একটি জাতীয় স্বনামধন্য পত্রিকার প্রতিবেদক কে একটি আইন অমান্য কারি কুচক্রী মহল এমন নীর্জলা মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রদান করার মাধ্যমে গণমাধ্যম কে বিভ্রান্ত করেছেন।প্রকাশিত সংবাদে আমার সামাজিক,পারিবারিক, আর্থিক ও রাজনৈতিক ভাবে মর্যাদাহানি ঘটেছে বিধায় আমি উক্ত প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।