রাজশাহী পবা উপজেলার কাটাখালি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের এমাদপুর জান্নাতুল ফেরদৌস গৌরস্থানের টাকা আত্মসাৎ করায় সংবাদ সম্মেলন ও মানব বন্ধন করে এলাকাবাসী।
রাজশাহী কাটাখালি পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড এমাদপুর “জান্নাতুল ফেরদৌস গৌরস্তানের” প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা আত্বসাৎ করেন, কাটাখালি পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো: মানিক আলী, গৌরস্থানের সভাপতি থাকায় তিনি এই টাকা আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনার বিষয়ে গৌরস্থান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. লোকমান আলী বলেন, আমি গৌরস্থানের শুরু থেকেই সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। এই গৌরস্থানে ১৩৫৭ জন সদস্য আছেন। গৌরস্থানে নামে ৯ কাঠা জমি আছে। গৌরস্থানের শুরুতে মো: মানিক আলী, পিতা গফুর আলী, কাটাখালী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর থাকায় তাকে সভপতি করা হয়। শুরুতে সকলের সহযোগীতায় ৩ কাঠা জমি ক্রয় করা হয়। এরপর বিভিন্ন কু কর্মের মামলায় মানিক কারাগারে যায়। পরে আমরা মানিককে ছাড়াই আরো ৬ কাঠা জমি ক্রয় করি। মানিক গৌরস্থানের কোন উন্নয়ন মূলক কাজ করেনি। তিনি আমাকে কোন কাজে সঙ্গেও নিতেন না। তিনি নিজে ৫ জনকে নিয়ে তার পকেট কমিটি বানিয়ে এমপি আয়েন উদ্দিনের দেওয়া সরকারি ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা গায়েব করেন।
এদিকে কাটাখালী পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আনোয়ার সাদত নান্নু পৌর ফান্ডে থেকে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা অনুমোদন করেন কিন্তু এমপি মহোদ্বযের ৩ লক্ষ টাকা ও এলাকাবাসীর দেওয়া প্রায় ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা। সর্ব মোট ১৩,০০,০০০/- (তের লক্ষ) টাকার কোন হদিস না থাকায় চেক স্থগিত করে দেন।
এ বিষয়ে কমিটির বর্তমান সভাপতি মকবুল হোসেন বলেন,
২০১৪ সালে গৌরস্থান শুরু করা হয়। তখন কাটাখালি পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিলেন মো. মানিক আলী, সেই দিক বিবেচনা করে তাকে সভাপতি করেন এলাকাবাসী। কিন্তু এখন ফান্ডে কোন টাকা নেই এবং গৌরস্থানের নামে কোন ব্যাংক একাউন্টও নেই। ফান্ডের সমস্ত টাকা সে আত্মসাৎ করেছে।
কাজেই এলাকাবাসী এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারের উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের আসু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৪ সালে ১৩৫৭ জন সদস্য নিয়ে গৌরস্থানের যাত্রা শুরু করা হয়। তখন কাটাখালি পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিলেন, মো: মানিক, সেই দিক বিবেচনা করে তাকে সভাপতি করা হয়। ফান্ডে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা থাকবে কিন্তু ফান্ড শুন্য। সমস্ত টাকা মানিক আত্মসাৎ করেছেন এখন ফান্ডে কোন টাকা নেই। টাকার খোজ খবর নেওয়ায় আমাদের সাথে মারমুখী আচরণ করেন ও পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছে আমরা সরকারের উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের দৃস্টি কামনা করছি। যেন গৌরস্থানের টাকা ফেরৎ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে রাজশাহী কাটাখালী পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো: আনোয়ার সাদত নান্নুকে জিজ্ঞেসাবাদ করলে তিনি বলেন, পৌরসভার ফান্ডে থেকে ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা আছে তবে বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় টাকা দেওয়া হয় নাই।
রাজশাহী ৩ সংসদ সদস্য জনাব আয়েন উদ্দিন এমপি ৩ লক্ষ টাকা দেন। এই টাকা দিয়ে কি কাজ হয়েছে তা আমার জানা নাই। তবে কাজের অণুসন্ধানে পবার টিআইও আগামী কাল রবিবার ২৪ অক্টোবর আসার কথা।
ঘটনার বিবরণে যানা যায়, এলাকাবাসী গোপন সংবাদ পান গৌরস্থান ফান্ডে কোন টাকার হদিস নেই। কোন কাজে টাকা লাগিয়েছেন বিষয়ে জিজ্ঞেসাবাদ করলে মানিক মারমুখী আচরণ করেন। আবার তিনি থানা পুলিশ দিয়ে হয়রানি করেন, বর্তমানে এলাকাবাসী মানিককে বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করেছেন ও তার বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে এখনো কোন আলোর মূখ দেখেনি এলাকাবাসী।