বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: মানবতার বিরোধী যুদ্ধ অপরাধী মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুতে মিলাদ মাহফিল করার অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ৬ নং বড়ধূল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ ও দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুর পর হাফিজুর রহমান হাফিজ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে সাঈদীর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে একটি পোষ্ট দিয়েছেন। সেই সাথে যুদ্ধ অপরাধীর মৃত্যুতে দোয়া মাহফিলের আয়োজনও করেছেন। এ বিষয়গুলো জানাজানি হলে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে তিব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সংগঠন বিরোধী কাজ করার পরেও ওই দুই নেতা সপদে বহাল রয়েছেন। এমন কর্মকান্ডের জন্য তাদেট স্থায়ী বহিষ্কারের দাবী জানিয়েছে নেতাকর্মীরা।
৬নং বড়ধূল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আবুল কাশেম ও আব্দুল খালেক জানান , হাফিজুর রহমান হাফিজ ও সাইফুল ইসলাম আওয়ামীলীগ নেতা হয়ে একজন যুদ্ধ অপরাধী সাঈদীর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়েছে। সেই সাথে তার মৃত্যুতে দোয়া মাহফিল করেছে। যা সংগঠনে নিয়ম শৃঙ্খলা পরিপন্থী। এটা অত্যান্ত দুঃখ জনক বিষয়। আমরা এ বিষয়ে দলের যারা গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছে তাদের মৌখিক ভাবে জানিয়েছি। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে তার এমন কর্মকান্ডের জন্য দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে যাতে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বড়ধূল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাফিজুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমাকে ফাঁসাতে একটি কুচক্রী মহল উঠেপড়ে লেগেছে।
আর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আশানুর বিশ্বাস বলেন, আমার জানামতে হাফিজুর এ ধরনের কোন কাজ করেনি। তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, মিলাদ মাহফিল টা আসলে মিলাদ মাহফিল ছিলনা। ওটা একটি কুলখানি অনুষ্ঠান ছিল। কুলখানি অনুষ্ঠানে যাওয়ার ছবি সাঈদীর মিলাদ মাহফিল হিসাবে চালাচ্ছে।