সাভারের আশুলিয়ায় কথিত এক শ্রমিক লীগ নেতার চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালিয়ে জাকির হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করলে ভুক্তভোগীর স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এঘটনায় অভিযান পরিচালনা করে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার মোর্শেদ ভুঁইয়ার ছেলে মারুফ ভুঁইয়া ও মাদারীপুর জেলা সিবচর থানা এলাকার ফজলুল হক মোল্লার ছেলে পারভেজ।
সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নোমান সিদ্দিক। এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জামগড়া মোল্লা বাজার থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।মামলার বাকি আসামীরা এখনো পলাতক রয়েছে। এই মামলার আসামী শাজাহান শাওন কয়েকদিন আগেও ডিস ব্যবসা দখলে নিতে জাহাঙ্গীর আলম ময়না মোল্লা নামের সবেক এক যুবলীগ নেতাকে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে এবং এলাকায় আতংক সৃষ্টি করতে দুই রাউন্ড গুলি ছুড়ে।
ভুক্তভোগী জাকির হোসেন আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকার একজন ডিস ব্যবসায়ী এবং অভিযুক্তরা কথিত শ্রমিক লীগ নেতা সানাউল্লাহ সানি ভূঁইয়ার লোক বলে জানা গেছে। তারা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ভাদাইল শাহজাহান মার্কেট এলাকা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাসার গেটের সামনে আসলে অভিযুক্তরা তার গতিরোধ করে দাড়ায়।পরে ময়লা ফেলা ও মোবাইল সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এক পর্যায়ে ওই ব্যবসায়ীর সাথে অভিযুক্তদের বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।এক পর্যায়ের রাজ কুমার রাজু তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে ভুক্তভোগীর মাথায় কোপ মারে। এতে ভুক্তভোগী গুরুত্বর জখম হয় এবং প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হতে থাকে। এ অবস্থায় মারুফ ভুঁইয়া ও এনামুল হোসেন তাদের হাতে থাকা ডেগার ও ছুরি দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। পরে ভুক্তভোগী মাটিতে পড়ে গেলে শাহজালাল শাওন, রাহুল, পারভেজ ও ডায়মন্ড তাদের হাতের লাঠি দিয়ে বেধরক মারপিট করতে তাকলে এক পর্যায় শাজাহান মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
এ সময় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর চিৎকারে মিজানুর রহমান নামের একজন এগিয়ে এলে রাজ কুমার রাজু তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে তাকেও কোপ মারে। এতে তার বাম হাত কেটে যায়। পরে ভুক্তভোগীদের ডাকচিৎকারে তাদের পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ফেরানোর চেষ্টা করলে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীর ঘরে প্রবেশ করে তাদের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও তার স্ত্রীকে প্রাণনামের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে স্থাণীয়দের সহযোগিতায় তাদেরকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নোমান সিদ্দিক বলেন, সকালে অভিযান চালিয়ে এই মামলার দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতার আসামী আগামীকাল সকালে আদালতে প্রেরন করা হবে।