নড়াইলে গাভীর কৃত্রিম প্রজনন ঘঠাতে ভূয়া কৃত্রিম প্রজনন কর্মীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে। যাদের কারনে ক্ষতি গ্রস্থ্য হচ্ছে প্রান্তিক খামারীরা। নাম মাত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে রাতরাতি পশু চিকিৎসক বনে গেছে এরা। শুধু পশু চিকিৎসক না গাভীর প্রজনন ঘঠাতে ও থেমে নেই তাদের কার্যক্রম। গ্রামের সহজ সরল সাধারণ মানুষদের নিকট গিয়ে নিজেকে অনেক বড় পশু ডাক্তার পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন ভূয়া এই সব কর্মীরা। যাদের অপ-চিকিৎসায় অনেক খামারী সর্বশান্ত হয়ে গেছে। মারা ও গেছে অনেক গরু। সব চেয়ে বড় মজার বিষয় এই সব ভূয়া ডাক্তারদের কসাইদের সাথে রয়েছে গোপন সম্পর্ক। কোন গরু মারা যাওয়ার সাথে সুকৌশলে বিক্রি করে দেন কসাইদের নিকট। অল্প দামে মরা গরু ক্রয় করে কেটে বাজারে বেশি দামে বিক্রি করেন এই চক্র।
, সরকারি নীতিমালার কোন রকম তোয়াক্কা না করে প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুলী দেখিয়ে বীরদর্পে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এই সব ভূয়া কৃত্রিম প্রজনন কর্মীরা। কখনও কখন ও নিজেকে পুশু চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে এই সব প্রজনন কর্মীরা। ( এন টি সি) সনদ ছাড়া ভারতীয় চুরায় পথে আসা ” গীর ” জাতের সিমেন ক্রয় করে ব্যবহার করছেন এই ভূয়া পশু চিকিৎসকরা।সল্পমূল্যে ” গীর জাতের এই সিমেন ক্রয় করে বেশি দামে বিক্রি করছে এই চক্র। যাদের দ্বারা প্রতারণার শিকার হচ্ছে
গ্রামের বিভিন্ন খামারিরা। শুধু প্রতারণা নয়
এর ফলে খামারিদের জাত উন্নয়নে বাধা গ্রস্থ হচ্ছে।
অনুসন্ধানে যানা গেছে, উপজেলা প্রাণী সম্পদের কয়েকজন (এল, এস, পি) কৃত্রিম প্রজনন কাজের সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িয়ে পড়েছে।৷ শেখহাটি এলাকার ( এল, এস, পি) সন্জু রায়, কলোড়া এলাকার ( এল, এস, পি) লিটন বিশ্বাস এছাড়া ও বিভিন্ন ভূঁইফোড় কোম্পানির নাম দিয়ে প্রশিক্ষণ বিহীন অনেকেই এই কাজের সাথে জড়িয়ে পড়েছে।
দেবভোগ গ্রামের অনুপম বকশী নলদীচর গ্রামের ( এ আই কর্মী) বিজন বিশ্বাস, ( এ, আই কর্মী) বিল্বপ বিশ্বাস। সহ উপজেলা ঝুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে এই সব ডাক্তারদের দৌরাত্ম্য।
উপজেলার বিচিত্র রায় বলেন, আমার গাভীকে ৭ থেকে ৮ বার প্রজনন করিয়ে ও কোন ফল হয়নি। প্রতিবার ৮০০ থেকে ১ ০০০ টাকা নিয়েছেন প্রজননকর্মী।
অপর দিকে রুইদহ মল্লিক বলেন,আমার অধিক মূল্যের এড়ে গরুকে চিকিৎসক ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলেছে।
এ বিষয়ে নড়াইল সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান বলেন, ইতিমধ্যে ভূয়া প্রজনন কর্মী ও ভূয়া ডাক্তারদের তালিকা প্রনয়ণ করা হয়েছে। সল্প সময়ের ভিতর ভূয়া এ সব ডাক্তারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।