রাজশাহীতে এক আইসিটি সেন্টারের মালিককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবী করার ঘটনায় ৩ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে আরএমপি’র দামকুড়া থানা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর দামকুড়া থানার জোতরাবোন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যেমে এ তথ্য জানান আরএমপি।
গ্রেফতাকৃত আসামিরা হলেন, মো: আকাশ আলী শিমুল (২৬) মো: শফিকুল ইসলাম বাপ্পি (২৪) ও মো: নূর ইসলাম (২৫)। আকাশ রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার চন্ডিপুরের বরজাহান আলীর ছেলে, শফিকুল ইসলাম একই এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে এবং নূর ইসলাম কোর্ট বুলুনপুরের মো: রুহুল আমিনের ছেলে। বর্তমানে সে কাশিয়াডাঙ্গা থানার বালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী মহানগরীর দামকুড়া থানার দামকুড়া হাট গোন্দিপুরের সৈয়দ মনিরুল ইসলাম একটি আইসিটি সেন্টারের মালিক। ওই আইসিটি সেন্টারের অংশীদার হওয়াকে কেন্দ্র করে মনিরুলের সাথে গ্রেফতারকৃত আসামিসহ অন্যান্য আসামিদের বিরোধ চলছিলো। গতকাল ১০ আগস্ট দুপুর ১:৩০ টার দিকে আসামি আকাশ, শফিকুল ও নূর ইসলাম মনিরুলের আইসিটি ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে তাকে চাকুর ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দিলে মাদক অথবা নারী দিয়ে ফাঁসিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়।
মনিরুল চাঁদা দিতে না চাইলে আসামিরা তাকে অপহরণ করে কাশিয়াডাঙ্গা থানার বালিয়া গ্রামের একটি বাড়িতে আটক করে রাখে। সেখানে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে মারধর করে এবং একটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে মনিরুল ইসলামের স্বাক্ষর নেয়। এরপর আসামিরা মনিরুলের মোবাইল হতে তার ভাই মেহেদী হাসানের কাছে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবী করে এবং টাকা নিয়ে দামকুড়া থানার জোতরাবোন এলাকায় আসতে বলে। মেহেদী হাসান বিষয়টি দামকুড়া থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
উক্ত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে আরএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (কাশিয়াডাঙ্গা) বিভূতি ভূষন বানার্জীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (কাশিয়াডাঙ্গা) ড. মো: রুহুল আমিন সরকারে নেতৃত্বে দামকুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মশিউর রহমান, এসআই মো: ওয়ারেছে আলী ও তার টিম মনিরুল ইসলামকে উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেফতারে অভিযানে নামে।
মেহেদী হাসান ঘটনার দিন রাত ৭:৪৫ টায় দামকুড়া থানার জোতরাবোন এলাকায় মুক্তিপনের টাকা নিয়ে আসামিদের সাথে দেখা করতে গেলে দামকুড়া থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে আসামি আকাশ, শফিকুল ও নুর ইসলামকে আটক করে এবং ভিকটিম মনিরুল ইসলামকে উদ্ধার করে।
অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অপহরণের ঘটনায় দামকুড়া থানায় পেনাল কোডের ৩৬৫/৩৮৫//৩৮৬/৫০৬(২)/১১৪/৩৪ ধারায় একটি মামলা করা হয়েছে।