সমাজ সেবাই এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন জিকো মাহমুদ । এলাকায় মন্দির,মসজিদ, ক্লাব নির্মাণে আর্থিক সহযোগিতা করে ইতিমধ্যে আলোচনায় এসেছেন তিনি।দীর্ঘ দিনের ঝুকিপূর্ণ রাস্তা নিজ অর্থায়নে মেরামত, মিলাদ- মাহফিল,হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজায় নগত অর্থ প্রদান, ছাড়াও এলাকার সাধারণ অসহায়,গরীব, দুঃখী মানুষকে সহায়তা করে তুৃুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এই জিকু মাহমুদ।
তার কাছে গিয়ে কখনও খালী হাতে ফিরে যায়নি কেউ। বিশেষ করে করোনা-কালীন সময়ে মানুষের বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছেন। গোপনে নগত অর্থ প্রদান করেন। শেখহাটি ইউনিয়নের বিভিন্ন সামজিক অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও শান্তি পূর্ণ করার লক্ষ্যে নগগ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন। তার এই সামাজিক কাজ কর্মে ইতিমধ্যে এলাকায় ব্যপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। স্থানীয়দের দাবি তার মত মহান মনের মানুষ জন- প্রতিনিধি হলে জনসেবা তৃনমূল মানুষের দৌড়গড়ায় পৌঁছে যাবে। জিকু মাহমুদের বাড়ি নড়াইল সদর উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের পঁচিশা গ্রামে। এস,এস,সি পাস করে বিদেশে চলে যান তিনি। সেখানে গিয়ে একটি কম্পানির সাথে ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। সেই থেকে পিছনে ফিরতে হয়নি তার। নিজ উপার্জিত অর্থ মানুষের সেবাই ব্যয় করে অনেকটা তৃপ্তি পান তিনি । বাল্যকাল থেকেই মানুষের প্রতি তার সহনশীলতা ছিল। সম্প্রতি সময়ে শেখহাটি গ্রামে তার অবদান দেখে রীতিমতো আলোচনা এসেছে এই দান বীর। স্থানীয় সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনে সহায়তা প্রদানে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
শেখহাটি পঁচিশা গ্রামের একাধিক ব্যক্তি বলেন, জিকু এক জন মানবিক মানুষ।এলাকায় মন্দির, মসজিদ প্রতিষ্ঠায় তার অবদান রয়েছে। সামাজিক অনুষ্ঠানে তিনি নগত অর্থ সহায়তা প্রদান করেন। কোন অসহায় দুস্থ মানুষ তার কাছে গেলে খালী হাতে ফিরে আসে না। আমাদের এলাকার সকলে মিলে তাকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার জন্য বারবার বলছি। তার মত দানবীর পরিষদের চেয়ারম্যান হলে এলাকার উন্নয়ন হবে। মানুষের সেবা করতে পারবে৷ বিগত সময়ে যারা চেয়ারম্যান হয়েছে তাদের পেটে ক্ষিদে। তারা নিজের পেট ভরা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। জিকো মাহমুদের অর্থের অভাব নেই। পরিষদের বরাদ্দকৃত অর্থ তিনি জনগণের কল্যানে ব্যয় করবেন। আমরা তাকে চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চাই।
জিকু মাহমুদ বিদেশে থাকায় কথা হয় মোবাইলে। তিনি বলেন, শেখহাটি ইউনিয়নের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। বাল্যকাল থেকেই তাদের মানবতার জীবন জাবন করা দেখেছি। তখনই ইচ্ছে হত তাদের পাশে গিয়ে দাড়ায়। এস,এস,সি পাসের পর বিদেশে চলে এসেছি। বিদেশে থেকে ও গ্রামের মা,মাটির স্মৃতি কখনও ভূলতে পারিনি। প্রতিটি মূহুর্তে তাদের স্মরণ করি। ইউনিয়নের সাধারণ ঘেটে খাওয়া মানুষের মানবিক জীবন জাবনের দৃশ্য দেখে তাদের পাশে গিয়ে দাড়ানোর মানুষকতা থেকে তার এই মানবিক সহযোগিতা। তিনি মনে করনে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হতে পারলে এই অবহেলিত জনগোষ্ঠীকে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করতে পারবেন তিনি।
শেখহাটি ইউনিয়ন বাসীর সমর্থন নিয়ে, জন-ভোগান্তি দুর করে অবহেলিত জনগোষ্ঠীকে সেবা করার অসিম মানুষিকতা নিয়ে ইউপি নির্বাচনে অংশ নিতে চান এই জিকু মাহমুদ