নওগাঁর ধামইরহাটে বাল্যবিবাহের উপর নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের কারণে বাল্যবিবাহ সংশ্লিষ্ট মায়ের কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। ১১ জানুয়ারি রাতে উপজেলার উমার ইউনিয়নের বাখরপুর আদিবাসী পাড়ায় এই বাল্য বিয়ের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণ জানা যায়, বাখরপুর গ্রামের মোজাফফর রহমানের মেয়ের ছুম্মার সাথে পৌর সদরের আমাইতাড়া গ্রামের আবু বক্করের অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে হৃদয় অরফে বাবুকে মেয়ের বাড়ীতে একত্র পেয়ে স্থানীয়রা তাদের আটক করে এবং বিয়ের আয়োজন করে।
ছেলে ও মেয়ে উভয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার এমন খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর প্রতিনিধি পাঠিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে বিয়ে না দিতে মেয়ের বাবাকে একাধিক বার নিষেধ করেন এবং কোন অভিযোগ থাকলে তা লিখিত দিতে তাগিদ দেন। কিন্তু মেয়ের পরিবার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন করে ।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট ছেলেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে জোর করে বাল্যবিবাহ দেওয়ারও লিখিত অভিযোগও করেন ছেলের বাবা আবু বক্কর। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তা টের পেয়ে কৌশলে বর-কনে ও মেয়ের বাবা চম্পট দেয়।
ঘটনাস্থলে কনের মা, মোসা. মোহসেনা খাতুনের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বাল্যবিবাহ নিরোধক আইন ২০১৭ এর ৮ ধারা ভংগের দায়ের সর্বনিম্ন ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান। ১২ জানুয়ারি মোসসেনা খাতুনকে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ সময় উপজেলা যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান সরদার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মিলন কুমারসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি ও গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।